আওয়ামীলীগ মন্ত্রীদের আমন্ত্রন জানিয়ে সমালোচনার মুখে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী কমিশনের মতবিনিময় সভায় অংশ নিতে ডাক পান। গত ২২ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ জারি করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন।
এমন ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ নানা মহলে হচ্ছে আলোচনা - সমালোচনা। তবে এবার এমন ঘটনার ব্যাখ্যা দিলেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ। তার দাবি, আওয়ামীলীগের এসব নেতাদের টেলিভিশনের লাইসেন্স হোল্ডার হিসেবে তাদের অভিযোগ শুনতে ডাকা হয়েছে।
সম্প্রতি, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন থেকে এ সভার নোটিশ জারি করা হয়। যেখানে বলা হয়, কমিশনের একটি মতবিনিময় সভায় এসোসিয়েশন অব টেলিভিশন ওনার্সের প্রতিনিধিদের সাথে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ সভায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
সভায় উপস্থিত থাকার জন্য যে ৪৭ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়, তার মধ্যেই রয়েছে ডিবিসি নিউজের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিজয় টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিবুল হাসান চৌধুরী ও মোহনা টিভির চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ মজুমদারের নাম। এ প্রসঙ্গে কমিশন প্রধান কামাল আহমেদ গনমাধ্যমকে জানান ‘তারা হচ্ছেন টেলিভিশনের লাইসেন্স হোল্ডার। তাদের নামেই সরকার লাইসেন্সগুলো দিয়েছে। ফলে যারা লাইসেন্সের মালিক তাদেরকেই ডাকা হয়েছে।’
জানা গেছে, এই ৩ আওয়ামী নেতার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ। তাই এসকল অভিযোগের বিষয়ে তাদের বক্তব্য জানতেই সভায় ডাকা হয় তাদের। কামাল আহমেদ জানান, ‘এদের কারো লাইসেন্স বাতিল হয়নি। সরকার এদের কোনো চ্যানেলকে বন্ধও করেনি। সুতরাং লাইসেন্স গ্রাহককে ডাকা হয়েছে। কোন সাংবাদিক নেতাকে নয়।
টিএ/