গাজা উপত্যকা দখল করবে যুক্তরাষ্ট্র : ট্রাম্প

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড দখল করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকা দখল করবে এবং সেখানকার মালিক হবে।ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক প্রেস কনফারেন্সে তিনি এই ঘোষণা দেন।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং আনাদোলু। প্রয়োজনে গাজা উপত্যকায় মার্কিন সেনা পাঠানোরও ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট।

রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকা দখল করবে এবং সেখানকার মালিকানা নেবে বলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “একই লোক” (গাজার) পুনর্নির্মাণ এবং জমি দখলের দায়িত্বে থাকা উচিত নয়। পৃথক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা আনাদোলু বলছে, গাজার বাইরে ফিলিস্তিনিদের স্থায়ী পুনর্বাসনের ইঙ্গিত দেওয়ার পরপরই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকা দখল করবে।”

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকা দখল করবে এবং আমরা এটি নিয়ে কাজও করব।”

ট্রাম্প বলেন, “আমরা এটির (গাজার) মালিক হবো এবং সেখানকার সমস্ত বিপজ্জনক অবিস্ফোরিত বোমা এবং অন্যান্য অস্ত্র নির্মূল করব, ভূখণ্ডটি সমতল করব এবং ধ্বংস হওয়া বিল্ডিংগুলো থেকেও আমরা মুক্তি পাবো, এগুলোকে সমতল করব (এবং) সেখানে এমন অর্থনৈতিক উন্নয়ন করব যা ওই এলাকার মানুষের জন্য প্রচুর চাকরি এবং আবাসন সৃষ্টি করবে।”
যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকায় সেনা পাঠাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি জবাব দেন: “যদি প্রয়োজন হয়, আমরা তা করব।”

তিনি বলেন, “আমরা সেই অংশটি দখল করতে যাচ্ছি। আমরা এটির উন্নয়ন করতে যাচ্ছি, হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করতে যাচ্ছি, এবং এটি এমন কিছু হবে যা সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য খুব গর্বিত হতে পারে।”

ট্রাম্প আরও বলেছে, তিনি গাজা স্ট্রিপের “দীর্ঘমেয়াদী মালিক” হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে দেখেন।

অন্যদিকে নেতানিয়াহু বলেছেন, “আমরা যেমনটা আলোচনা করেছি, মিস্টার প্রেসিডেন্ট, আমাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে এবং আমাদের অঞ্চলে শান্তি আনতে, আমাদের কাজ শেষ করতে হবে। ইসরায়েলকে নিশ্চিত করতে হবে যে- “গাজা আর কখনও ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে না।”

টিএ/

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নেতানিয়াহুর ক্ষমা আবেদনের উত্তরে প্রেসিডেন্ট হারজগের ঘোষণা 'শুধুমাত্র দেশের স্বার্থ বিবেচনা করা হবে' Dec 02, 2025
img
‘প্রিন্স’ শাকিবের সঙ্গী অভিনেতা নাসির উদ্দিন Dec 02, 2025
img
দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের প্রেরণার উৎস : তারেক রহমান Dec 02, 2025
img
‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’, কী কী সুবিধা পাচ্ছেন খালেদা জিয়া Dec 02, 2025
img
শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতিতে দ্বিতীয় দিনের মতো স্থগিত বার্ষিক পরীক্ষা Dec 02, 2025
img

আইন উপদেষ্টা

তারেক রহমান দেশে ফিরলে নিরাপত্তায় সহযোগিতা করব Dec 02, 2025
img
পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীতে, তাপমাত্রা নামল ১১ ডিগ্রিতে Dec 02, 2025
img
দুর্বল হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’ ,গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির আভাস Dec 02, 2025
img
ইমরান খানের খোঁজ না মেলায় পাকিস্তানজুড়ে উত্তেজনা, রাওয়ালপিন্ডিতে ১৪৪ ধারা জারি Dec 02, 2025
img
ভূমিকম্পের মাত্রা ছাড়াতে পারে ৭ দশমিক ৮-এর বেশি, এরপর আফটার শক! Dec 02, 2025
img
দেশে তৈরি হয়েছে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ: মির্জা ফখরুল Dec 02, 2025
img
মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো টঙ্গীর ৫ দিনের জোড় ইজতেমা Dec 02, 2025
img
'এই দেশের মানুষকে ছেড়ে আমি কোথাও যাব না' Dec 02, 2025
img
আ’লী‌গ নেতাসহ পরিবারের সদস্যের ৬৬ কো‌টি টাকার সম্পত্তি ক্রোক Dec 02, 2025
img
৫ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩ বিলিয়ন ডলার Dec 02, 2025
img
ভোট দিতে প্রবাসী নিবন্ধন ১ লাখ ২৭ হাজার Dec 02, 2025
img
স্বর্ণের ভরিতে বাড়ল ১৫৭৫ টাকা, আজ থেকে বিক্রি হবে নতুন দামে Dec 02, 2025
img
শান্তি আলোচনায় ভূখণ্ড ইস্যু সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ: জেলেনস্কি Dec 02, 2025
img
মধ্যপ্রাচ্যে ‘দুই রাষ্ট্র সমাধান’ চান পোপ Dec 02, 2025
img
১ কোটি টাকা লাগলেও মুশফিককে কিনত রাজশাহী Dec 02, 2025