ঢাকার কেরানীগঞ্জের ‘আব্বা বাহিনীর’ পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পরিচিত ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাতে রাজধানীর নিউমার্কেট থানা এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসীন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ইকবাল হোসেনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় দুটি মামলা আছে। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে ‘আব্বা বাহিনী’ গড়ে উঠে। ইকবাল হোসেন ও তার ভাই শুভাঢ্যা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বাছের উদ্দিন অনেক আগে থেকেই দলবল নিয়ে চলতেন। সেই দলবলই পরে ‘আব্বা বাহিনীতে’ রূপ নেয়।
এ বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন বাছের। আর মাঠ পর্যায়ে বাহিনীকে নেতৃত্ব দেন তার ছেলে ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফতাব উদ্দিন (রাব্বি)। আর এই বাহিনীকে মদদ দিয়ে এসেছেন ইকবাল। আব্বা বাহিনীর বিরুদ্ধে মাদক কারবার, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জমি দখলসহ নানা অভিযোগ আছে।
এসব কর্মকাণ্ডে কেউ বাধা দিলে তাঁদের ওপর হামলার পাশাপাশি কুপিয়ে জখম করা হতো। সেই সঙ্গে টর্চার সেলে নিয়ে ব্যাপক নির্যাতন চালানো হতো।
আরও জানায়, গত বছরের জানুয়ারি মাসে ‘আব্বা বাহিনীর’ কর্মকাণ্ড আলোচনায় আসে। চাঁদার টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারাকে কেন্দ্র করে ওই সময় সাইফুল ইসলাম নামের বাহিনীটির এক সদস্যকে টর্চার সেলে ছয় ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালানো হয়। একপর্যায়ে সাইফুলের মৃত্যু হয়।
নির্যাতনের একটি ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়। সমালোচনার মুখে আফতাবসহ বাহিনীটির ১২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে আব্বা বাহিনীর মদদদাতা ইকবাল প্রভাবশালী হওয়ায় এত দিন ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন।
৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক ছিলেন তিনি।
এসএস