‘ইয়েল বিশ্ব ফেলো’ পেলেন চলনবিলের ভাসমান স্কুলের উদ্ভাবক রেজোয়ান। ব্যতিক্রমধর্মী এই স্কুল প্রতিষ্ঠার স্বীকৃতি স্বরূপ এ সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। মোহাম্মদ রেজোয়ানের প্রতিষ্ঠান সিধুলাই স্ব-নির্ভর সংস্থা থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটি এই লিডারশিপ ফেলোশিপ প্রদান করে।
স্থপতি রেজোয়ানের প্রতিষ্ঠান সিধুলাই স্ব-নির্ভর সংস্থা ২০০২ সালে বিশ্বের প্রথম ভাসমান স্কুলের ধারণা বাস্তবায়ন করে। সৌরবিদ্যুৎ চালিত নৌকায় পরিচালিত হয় এসব স্কুল। বন্যার মধ্যেও শিশুদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করে রিজোয়ানের এই প্রতিষ্ঠান। যা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানা মহলের প্রসংশা কুড়িয়ে আসছেন তিনি।
শুধু শিক্ষা নয়, রেজোয়ান এর উদ্যোগে সম্প্রসারিত হয়েছে ভাসমান গ্রন্থাগার, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, প্লেগ্রাউন্ড ও ভাসমান কৃষি খামারের মাধ্যমে। বাংলাদেশ সরকার তার ব্যতিক্রমি এই উদ্ভাবন ভাসমান স্কুল-কে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ২০২৩-২০৫০ এ অন্তর্ভুক্ত করেছে। তার উদ্ভাবনী মডেল এখন পর্যন্ত এশিয়া ও আফ্রিকার আটটি দেশে সফলভাবে অনুসরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিশ্ব ফেলো হিসেবে রেজোয়ান ইয়েল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ফল সেমিস্টারে লেকচার ও পরামর্শ দেবেন। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন ও শিক্ষা উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনায় অংশ নেবেন, গবেষণামূলক কাজ করবেন, এবং বাংলাদেশের অভিজ্ঞতাকে বৈশ্বিক পর্যায়ে তুলে ধরবেন।
এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ রেজোয়ান বলেন, “এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের সমস্ত সংগ্রামী মানুষদের জন্য যারা আমাদের প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত করেছেন। তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রেরণার কারণেই আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি যে, নতুন সমাধান বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকেই আসতে পারে। আশা করি, ইয়েল ইউনিভার্সিটির এই স্বীকৃতি জলবায়ু অভিযোজন ও শিক্ষার উন্নয়নের সিধুলাই ভাসমান স্কুল মডেলকে বৈশ্বিক পর্যায়ে আরো ব্যাপক আকারে বিস্তারের সুযোগ করে দিবে।”
এসএন