শেখ হাসিনাকে ভারতে রেখে নির্বাচন পেছালে তা দেশের জন্য আরো সংকট তৈরি করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ রবিবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ কথা আমি গতকালও বলেছি, ড. ইউনূস যখন ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছিলেন, তখন আমরা আশাবাদী হয়েছিলাম। সম্প্রতি আবার তিনি বললেন, নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে হবে।
এটা আমাদের হতাশ করেছে।
আমরা মনে করি, বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক সংকট রয়েছে, ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান এবং এখনো ভারতের প্রভাব—এগুলো আমাদের জন্য ভালো একটি ভবিষ্যৎ তৈরি করছে না। আমাদের গণতন্ত্রের শত্রুকে ভারতে রেখে নির্বাচন পেছালে তা দেশের জন্য আরো সংকট তৈরি করবে। জনগণের রায়ে নির্বাচিত সরকার আর অনির্বাচিত সরকারের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে।তাই নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ।’
গণতন্ত্রবিরোধী একটি পক্ষ ফায়দা লুটতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘২০২২ সালে আমরা ৪২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পরামর্শ করে কাঠামোগত সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি, যা ৩১ দফা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। যদিও এর জন্য আমাদের অনেক মূল্য দিতে হয়েছে।
সর্বশেষ গোলাপবাগের সমাবেশ থেকে ১০ দফা চূড়ান্ত সংস্কারের কথা বলেছি।
অথচ এ বিষয়ে বিএনপির অবস্থানের বিষয়ে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। এর একটাই কারণ, বিএনপি সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দল। দেশ ও গণতন্ত্রবিরোধী একটি পক্ষ এ বিষয়ে বলে ফায়দা লুটতে চায়।’সংস্কারের কারণে নির্বাচন পেছানো উচিত হবে না বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘সংস্কার সংস্কারের মতো চলবে, নির্বাচন নির্বাচনের মতো। নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করলে রাজনৈতিক সংকট অনেকটাই কেটে যাবে। অথচ একটি মহলের মধ্যে নির্বাচন পেছানোর প্রবণতা কাজ করছে।’