ঈদের ৯দিন ছুটির পর প্রাণ ফিরেছে দেশের চারদেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধায়। রোববার (৬ এপ্রিল) সকাল থেকে বন্দরটি দিয়ে আমদানি-রপ্তানির বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক আসা-যাওয়া করছে। এ দিনই বিকেলে বন্দরটি দিয়ে আরো ২৫২ মেট্রিক টন আলু নেপালে রপ্তানি হয়েছে।
সন্ধ্যায় স্থলবন্দরটি দিয়ে ২৫২ মেট্রিক টন আলু নেপালে যাওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন।
উজ্জ্বল হোসেন জানান, ঈদের ছুটি শেষে রোববার থেকে বন্দরটির আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমসহ সকল কার্যক্রম চালু হয়েছে। আজই ১২টি ট্রাকে ২৫২ মেট্রিক টন আলু নেপালে গেল। আলুগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। রপ্তানিকারকরা প্রয়োজনীয় ডুকুমেন্ট অনলাইনে আবেদন করে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রে ল্যাবে পরীক্ষা করার পর ফাইটোসেনেটারি সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়। এর আগে গত ২৫ মার্চ ঈদের আগে বন্দরটি দিয়ে ১১টি ট্রাকে বন্দরটি দিয়ে ২৩১ মেট্রিক টন আলু নেপালে গেছে। এ পর্যন্ত ২৫৮৩ মেট্রিক টন আলু নেপালে রপ্তানি হয়েছে।
তিনি আরো জানান, বন্দরটি দিয়ে থিংকস টু সাপ্লাই ও স্বাধীন এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আলুগুলো রপ্তানি করেছে। এছাড়াও হুসেন এন্টারপ্রাইজ, ক্রসেস এগ্রো, লোয়েড বন্ড লজেস্টিকসহ বেশ কিছু রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান নেপালে আলু রপ্তানি করছে। জাতগুলো হলো, স্টারিজ এবং লেডিও রোজেটা।
বন্দরটি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারত ও নেপালে পাট, ওষুধ, প্রাণ ও ওয়ালটনের পণ্য, জুস, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিসহ নানা ধরনের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। অপরদিকে মসুর ডাল, গম, ভুট্টা, চিরতা, হাজমলা, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিক দানা, রেললাইনের স্লিপার, খইল, আদা ও চিটাগুড় আমদানি করা হয়।
এসএম/টিএ