‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে কোনো কিছু করা যাবে না : চরমোনাই

পহেলা বৈশাখ উদযাপনে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নামে কোনো কিছু অবশ্যই করা যাবে না। ‘মঙ্গল’ শব্দ ও ধারণা অবশ্যই বাদ দিতে হবে বলে জানিয়েছেন ইসলামী আান্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম চরমোনাই।

মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, নববর্ষের দিন মানুষ শালীনতা ও ইতিহাস-ঐতিহ্য সমর্থিত পন্থায় নানা আয়োজন করতেই পারে। কিন্তু সেইদিন কোনো যাত্রা করলে তাতে ‘মঙ্গল’ হবে এমন বিশ্বাস করলে বা ধারণা করলে পরিস্কারভাবে তা গুনাহের দিকে নিয়ে যাবে। তাই ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে কোনো কিছু অবশ্যই করা যাবে না।

বুধবার (৯ এপ্রিল) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

ফয়জুল করীম বলেন, পয়লা বৈশাখ ঋতু সম্পর্কিত একটি বিষয়। এই অঞ্চলের মানুষের কৃষিকাজ, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিয়েসাদিসহ অনেক কিছুই ঋতুর সঙ্গে সম্পর্কিত। সেজন্য বাদশাহ আকরব ইসলামী বর্ষপঞ্জিকাকে ভিত্তি ধরে সৌরবর্ষ গণনার জন্য বাংলাসন প্রবর্তন করেছিলেন। এই সনের প্রবর্তনের নামে মুসলমানদের ইতিহাস-ঐতিহ্য জড়িত। একই সঙ্গে এই অঞ্চলের মানুষ হাজার বছর ধরে মুসলমান হওয়ার কারণে তাদের আচার-প্রথা ও সংস্কৃতিতে ইসলাম বিরোধী কোনো কিছুর অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। তাই বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপনের কোনো আয়োজনে ইসলাম অসমর্থিত কিছু থাকা যাবে না।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই অঞ্চলের মুসলিমদের স্বার্থেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ইতিহাসের সেই বাস্তবতা মাথায় রেখে নববর্ষের আয়োজন থেকে ‘মঙ্গল’ শব্দ ও ধারণা বাদ দিন। একই সঙ্গে নববর্ষের আয়োজনে মূর্তিসহ ইসলাম অসমর্থিত সব কিছু বাদ দিন। বরং এ দেশের হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্যকে বিবেচনা করে ইসলাম সমর্থিত ধারণা ও উপকরণ ব্যবহার করুন।

মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম চরমোনাই সতর্ক করে বলেন, পতিত ফ্যাসিবাদের চাপিয়ে দেওয়া সাংস্কৃতিক লড়াই যদি অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে জারি থাকে তাহলে শহীদের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারি করা হবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তা হতে দেবে না। তাই নববর্ষের সব আয়োজন থেকে পতিত ফ্যাসিবাদের চাপিয়ে দেওয়া হিন্দুত্ববাদী প্রতীক, ধারণা ও অনুষঙ্গ বাদ দিতেই হবে।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান কারোর ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় : উমামা ফাতেমা Jul 03, 2025
img
বিতর্কের মাঝে দেশাত্মবোধক সিনেমায় দিলজিৎ Jul 03, 2025
img
পুরনো বন্দোবস্তের রাজনীতির নেতৃত্বে পরিবর্তন হয়েছে, বন্দোবস্ত পরিবর্তন হয়নি : নাহিদ ইসলাম Jul 03, 2025
img
চলমান সংস্কার কাজে সমর্থন অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 03, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারে জাইকার সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি Jul 03, 2025
img
আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পারভিন: ইমরান হাসমি Jul 03, 2025
img
তরুণদের সুপারহিরো না হওয়ার উপদেশ ব্র্যাড পিটের Jul 03, 2025
img
ইসরাইলের পিআর পদ্ধতি কেন আলেম, উলামা ও পীরদের আদর্শ হলো সেটা বুঝে আসে না : প্রিন্স Jul 03, 2025
img
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু Jul 03, 2025
img
পরিচালকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ শার্লিজের Jul 03, 2025
পঞ্চগড়ে দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার তৃতীয় দিনে যা বললেন নাহিদ Jul 03, 2025
ইতালীয় নাগরিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৩ জনের যাবজ্জীবন,৪ জন খালাস Jul 03, 2025
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় স্তব্ধ দেশের আন্তর্জাতিক পর্যটন! Jul 03, 2025
স্ত্রীর কাছ থেকে কিডনি পেয়েই পরকীয়ায় জড়ালেন স্বামী! Jul 03, 2025
উত্তরসূরি নির্বাচনের ঘোষণা দালাই লামার, বাগড়া দিলো চীন Jul 03, 2025
‘একটা সংলাপও ঠিকমতো বলতে পারো না’ ছেলেকে অমিতাভের খোঁচা Jul 03, 2025
img
সংসদে হিম্মত নিয়ে কথা বলার মতো নেতা আমাদের নেই : ফারুক হাসান Jul 03, 2025
img
ইউক্রেনের হামলায় নিহত রাশিয়ার নৌবাহিনীর উপপ্রধান Jul 03, 2025
img
‘গরুর মাংস খান রণবীর’, ভারতজুড়ে বি-র্ত-ক Jul 03, 2025
img
জায়েদ খানের সঙ্গে আসছেন অভিনেত্রী তানজিন তিশা Jul 03, 2025