ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) নির্যাতনে ওয়াসিম নামে এক বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, নির্যাতনের পর তার মরদেহ ইছামতী নদীতে ফেলে দেয় বিএসএফ।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে হুদাপাড়া গ্রামের এক কৃষক নদীতে ভেসে থাকা মরদেহটি দেখতে পান। এরপর স্থানীয়রা নিশ্চিত হন যে মৃতদেহটি উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের বুনোপাড়া এলাকার রমজান আলীর ছেলে ওয়াসিমের।
বাঘাডাঙ্গা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ওবাইদুল ইসলাম জানান, চার দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ওয়াসিম। ভারত থেকে ধূর আনতে গিয়ে সীমান্ত পার হওয়ার সময় বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তার সঙ্গীরা পালিয়ে এলেও ওয়াসিম ফেরত আসেননি।
নিহতের বড় ভাই মেহেদী হাসান বলেন, “আমার ভাই মাঝেমধ্যে সীমান্ত এলাকায় ধূর আনতে যেত। ৮ এপ্রিল ভারতে যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিল। পরে জানতে পারি, বিএসএফ তাকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করেছে।”
তবে খালিশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল আলম জানান, মরদেহটি ইছামতী নদীর ভারতীয় অংশে থাকায় এখনও উদ্ধার সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, “বিএসএফকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত মরদেহটি বাংলাদেশি কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন, “সীমান্তের ওপারে নদীতে একটি মরদেহ ভেসে থাকতে দেখা গেছে। যেহেতু এটি সীমান্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়, বিজিবি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।”
এ ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এসএস