ঢাকার রাস্তায় দেখা গেল ফিলিস্তিনের আহত শিশুদের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে অনুষ্ঠিত হয় একটি ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ প্রদর্শনী। গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলা, এতে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকা এবং আরববিশ্বের নীরবতা তুলে ধরতেই এই সৃজনশীল ও প্রতীকী আয়োজন করা হয়।

শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাওয়া এক মিছিলেই এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

প্রদর্শনীতে দেখা যায়, গাজায় আহত হওয়া শিশুদের মতো করে কয়েকজন শিশু মাথায় ব্যান্ডেজ করে, সেখানে লাল রং লাগিয়ে এবং ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে হাঁটছেন।

মূলত গাঁজার আহত শিশুদের প্রতি সংহতি জানাতেই এমন আয়োজন।

অন্য প্রদর্শনীতে দেখা যায়, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর মুখোশ পরা একজন ব্যক্তি প্রতীকী রক্তে ভরা বাটি হাতে নিয়ে হাঁটছেন, যার শরীরজুড়ে রক্তের ছোপ (প্রতীকীভাবে ফিলিস্তিনিদের রক্ত)। তার পাশেই ট্রাম্পের মুখোশধারী একজন আছেন, যিনি নেতানিয়াহুকে সহায়তা করছেন এবং তার দেহেও রয়েছে প্রতীকী রক্তের দাগ।

প্রদর্শনীর আরেকটি অংশে আরববিশ্বের নেতাদের আদলে পোশাক পরা কয়েকজনকে দেখা যায়—তারা নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের আশপাশে ঘোরাফেরা করছেন, তাদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করছেন এবং কৃতজ্ঞতাসূচক চুম্বন করছেন।

সবচেয়ে হৃদয়বিদারক অংশ ছিল কাফনে মোড়ানো অসংখ্য প্রতীকী লাশের মিছিল, যা নেতানিয়াহু, ট্রাম্প এবং আরব নেতাদের চরিত্রে অংশগ্রহণকারীরা টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এই অংশটিই গণহত্যার বাস্তবতা ও বিশ্ব রাজনীতির নিষ্ক্রিয়তাকে জোরালোভাবে তুলে ধরে।

এই ব্যতিক্রমী আয়োজনের সঙ্গে থাকা একজন প্রতিবাদকারী বলেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনীর দখলদারি ও গণহত্যায় ট্রাম্প প্রশাসনের সরাসরি সহযোগিতা রয়েছে, আর আরববিশ্বের নেতারা নির্লিপ্ত দর্শক। আমরা এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে সেই নীরবতা ও সহযোগিতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

প্রদর্শনীটি দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন তোলে এবং ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করে।

এসএম/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আরেক মেয়াদে টিটুর সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করল বাফুফে Jul 01, 2025
img
জাতীয় দলের নতুন নির্বাচক হিসেবে শিপনকে চায় বিসিবি Jul 01, 2025
ফেসবুক পোস্টে এই দিনটি স্মরণ করলেন উমামা ফাতেমা Jul 01, 2025
img
শহীদ আবু সাঈদের মায়ের দোয়া নিয়ে এনসিপির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ শুরু Jul 01, 2025
img
‘রামায়ণ’ এর শেষের দিনে চোখের জল আটকালেন না রণবীর! Jul 01, 2025
img
আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু Jul 01, 2025
img
স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা Jul 01, 2025
img
আগামী ৫ দিন টানা বৃষ্টির আভাস Jul 01, 2025
img
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করল পাকিস্তান Jul 01, 2025
img
সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় মব হয়েছে : মোশাররফ আহমেদ Jul 01, 2025
img
বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৩ হাজার, হাসপাতালে ২১৭ জন ভর্তি Jul 01, 2025
img
শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে মুক্তির স্বাদ দিয়েছে, জুলাই ক্যালেন্ডার উদ্বোধনে প্রধান উপদেষ্টা Jul 01, 2025
বিসিবি ছাড়ছেন সামি, জানালেন কারণ Jul 01, 2025
img
আসিফ মাহমুদের বিচার করা উচিত : নিলুফার মনি Jul 01, 2025
img
দেশের ৪ সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত Jul 01, 2025
img
ঢাকায় এবার বাংলাদেশ-নেপাল দ্বিপক্ষীয় এফওসি বৈঠক Jul 01, 2025
img
জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ আমরা আদায় করে ছাড়ব: নাহিদ ইসলাম Jul 01, 2025
img
আসন্ন বিপিএল শুরু হচ্ছে কবে, জানাল বিসিবি Jul 01, 2025
img
আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ Jul 01, 2025
img
১ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষের ২০৩০ সালের মধ্যে অকাল মৃত্যু ঘটতে পারে Jul 01, 2025