রাফাহকে ঘিরে ফেলেছে ইসরাইল, গাজায় হামলা আরও জোরদারের ঘোষণা

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিস ও রাফাহর মধ্যকার অঞ্চলের ‘মোরাগ’ করিডোর পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইসরাইল। এর ফলে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরটিকে গাজার বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছ দখলদার সোনারা।

শনিবার (১২ এপ্রিল) ইসরাইলের সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রাফাহকে এখন চারিদিকে ঘিরে ফেলেছে তাদের বাহিনী। ৩৬তম ডিভিশন ‘মোরাগ’ করিডোর ও গাজা ডিভিশন মিশর-গাজা সীমান্তবর্তী ফিলাডেলফি করিডোরে কাজ করছে বলেও জানায় আইডিএফ।

আগে থেকেই সীমান্তবর্তী গাজার ফিলাডেলফি করিডর দখল করে রেখেছিল ইসরাইলি সেনারা। এরপর খান ইউনিসের কাছে ইসরাইল তৈরি করে মোরাগ করিডর। এই করিডরটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার মাধ্যমে রাফাহ খান ইউনিস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে রাফাহর পুরো অঞ্চলটি ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।

গেল ছয় সপ্তাহে গাজায় ত্রাণ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। বাড়তি মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যেই স্থানীয় সময় শনিবার গাজা সিটি ও দক্ষিণের আল-মাওয়াসিসহ উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। এতে বেশ কয়েকজন নিহত হন।

এরমধ্যেই আরও জোরালো হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেল আবিব। শনিবার রাতে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ জানান, হামাস যোদ্ধারা গাজার যে প্রান্তেই লুকিয়ে থাকুক না কেন, তাদের খুঁজে বের করে ধ্বংস করা হবে।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনকে নির্মূল করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করে যুদ্ধ সমাপ্তির এখনই শেষ সময় বলে মন্তব্য করেন তিনি। গাজার দক্ষিণাঞ্চলে নিরাপত্তা অঞ্চল পুরোপুরি দখল করে রাফাহ থেকে খান ইউনিসকে বিচ্ছিন্ন করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।

সম্প্রতি ইসরাইলকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি রকেট নিক্ষেপ করে হামাস। এ হামলার কঠিন মাসুল দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহর ও আশপাশের এলাকায় নতুন করে হামলার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ২০টির বেশি এলাকা খালি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শুধু তিন সপ্তাহেই চার লাখের বেশি মানুষকে ঘর ছাড়তে হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বলেছে, ইসরাইল যে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে, তা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দুই পক্ষের সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন ১, ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার Apr 14, 2025
img
হৃদয় ইস্যুতে যা বললেন আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান Apr 14, 2025
img
শোভাযাত্রার শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মেট্রোরেলের ২ স্টেশন বন্ধ Apr 14, 2025
img
গদা হাতে ইউভান! নয়া রূপে শুভশ্রীর বীর Apr 14, 2025
img
কথায় কথায় কান্না করার ব্যাখ্যা দিলেন বারিশা হক Apr 14, 2025
img
শোভাযাত্রায় রয়েছে ‘পানি লাগবে পানি’ মোটিফ Apr 14, 2025
img
শোভাযাত্রায় ১৮ হরিয়ানা ঘোড়া নিয়ে ডিএমপির অশ্বারোহী দল Apr 14, 2025
img
মার্কিন মুলুকে হৃতিকের অনুষ্ঠান ঘিরে বিতর্ক, আয়োজকের সাফাই Apr 14, 2025
img
প্রতিদিন গড়ে ১১১ মিনিট হাঁটলেই ১১ বছর আয়ু বাড়বে! দাবি ব্রিটিশ বিজ্ঞান পত্রিকার Apr 14, 2025
img
সিঙ্গাপুর থেকে অনলাইনে আদালতে সাক্ষী দিলেন প্রবাসী Apr 14, 2025