২০২১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে 'এক্সসেপ্ট ইসরায়েল' বাক্যটি সরিয়ে ফেলা হয়। মূলত, বাংলাদেশি নাগরিকরা যেন পাসপোর্ট ব্যবহার করে ইসরায়েলে না যেতে পারেন, সে লক্ষ্যে পাসপোর্টে লেখা ছিল ‘ইসরায়েল বাদে সব দেশে বৈধ’। তবে প্রায় চার বছর পর, সেই পুরনো বাক্যটি আবার পাসপোর্টে যুক্ত করেছে বর্তমান বাংলাদেশ সরকার। বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এক্সসেপ্ট ইসরায়েল শব্দগুলো তাদের পাসপোর্টে পুনর্বহাল করেছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। এর মাধ্যমে ইসরায়েলে যেন কোনো বাংলাদেশি যেতে না পারেন সেটি নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে ইসরায়েল একটি স্পর্শকাতর ইস্যু। দেশটি ইসরায়েলকে কোনো স্বীকৃতি দেয় না।
‘ইসরায়েল বাদে অন্য সব দেশে বৈধ’ এ কথাটি দেশের পাসপোর্টে কয়েক দশক ধরে ছিল। কিন্তু ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলের শেষের দিকে এই বাক্যটি বাদ দেওয়া হয়।- প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়।
এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নীলিমা আফরোজ বার্তা সংস্থা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বিএসএস)-কে জানিয়েছেন, পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল বাদে’ শব্দগুলো পুনর্বহালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে গত সপ্তাহে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এর আগে গত শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখ লাখ বাংলাদেশি ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিক্ষোভ র্যালি করেন। এই সংবাদটিও ইসরায়েলি গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হয়। এরমধ্যে বার্তা সংস্থা এপির বরাতে টাইমস অব ইসরায়েল খবর প্রকাশ করে। তারা তাদের শিরোনামে দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ছবিতে বাংলাদেশিদের ‘জুতাপেটা’ করার প্রসঙ্গটি তুলে ধরে।
আরএ