গাজা থেকে ২৪ জনকে সরিয়ে নিল জার্মানি

জার্মান সরকার জানিয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা থেকে ২৪ জন জার্মান নাগরিক ও তাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের একটি দলকে বুধবার সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘মাসের পর মাস গাজায় আটকে থাকার পর আজ ২৪ জন জার্মান ও তাদের পরিবারের সদস্যরা ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে গাজা ছাড়তে সক্ষম হয়েছে।’

এই দলের ৯ জন জার্মান নাগরিক ও বাকিরা তাদের ফিলিস্তিনি আত্মীয় বলে জানা গেছে। মুখপাত্র জানান, ওই দলটিকে বাসে করে ইসরায়েল ও পশ্চিম তীর হয়ে জর্দানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সেখান থেকে তারা জার্মানির উদ্দেশে বিমানে রওনা হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেক মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান ওয়াগনার এর আগে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রায় দুই ডজন জার্মান’ গাজা ত্যাগ করছে। তিনি আরো জানান, গাজায় এখনো ‘এক অঙ্কের সংখ্যায় অল্প কয়েকজন’ জার্মান আছে, যারা দেশ ছাড়তে ইচ্ছুক, তাদের সম্পর্কে জার্মান কর্তৃপক্ষ অবগত।

২০২৪ সালের মে মাসে রাফা সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ হওয়ার পর এটি ছিল জার্মানির নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার তৃতীয় দফার কার্যক্রম।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত জার্মান সরকার প্রায় ৭০০ জন জার্মান ও তাদের পরিবারের সদস্যদের গাজা থেকে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে জার্মানি জানায়, তাদের ১৯ জন নাগরিক ও তাদের ১৪ জন আত্মীয়কে গাজা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হওয়া একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি দুই মাসের মধ্যে ভেঙে পড়ার পর ইসরায়েল ফের ব্যাপক বিমান ও স্থল হামলা শুরু করেছে। এতে গাজা উপত্যকায় কয়েক লাখ মানুষ নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

এর মধ্যেই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বুধবার বলেছেন, ইসরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তা ঢুকতে বাধা দিয়ে যাবে।

এফপি/এস এন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
হাদিকে খুনের চেষ্টাকারীর সহযোগীরা হাসপাতাল পর্যন্ত চলে এসেছিল : তাসনিম জুমা Dec 14, 2025
img
বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে চায় : রুমিন ফারহানা Dec 14, 2025
img
সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলার পেছনে কারা জড়িত? Dec 14, 2025
img
সাজিদের ঘটনায় ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ Dec 14, 2025
img
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি লিটন দাসের শ্রদ্ধা Dec 14, 2025
img
মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে বিশৃঙ্খলা, মমতার গ্রেফতার দাবি Dec 14, 2025
img
সোশ্যাল মিডিয়ায় সব সত্য নয়, স্পষ্ট বার্তা অভিনেত্রী কনীনিকা ব্যানার্জি Dec 14, 2025
img
সিলেট সীমান্তে বিজিবি সদস্যদের ওপর মাদককারবারিদের হামলা Dec 14, 2025
img
সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস Dec 14, 2025
img
হাদির ওপর হামলাকারীর সীমান্ত পাড়ি দেয়ার তথ্য নেই : ডিএমপির মুখপাত্র Dec 14, 2025
img
কম্বোডিয়ায় নতুন করে হামলা চালাল থাইল্যান্ড Dec 14, 2025
img
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন Dec 14, 2025
img
লড়াই এখনো শেষ হয়নি: জোনায়েদ সাকী Dec 14, 2025
img
আইপিএল নিলামের আগে কপাল পুড়ল ৯ ক্রিকেটারের Dec 14, 2025
জয়ে ফিরল চেলসি, একিতিকের জোড়া গোলে জিতেছে লিভারপুল Dec 14, 2025
মহানবীর যে বিষয়ে অবাক হতেন মা আয়েশা | ইসলামিক জ্ঞান Dec 14, 2025
১৪ ডিসেম্বর: জাতিকে মেধাশূন্য করার নৃশংস অধ্যায় Dec 14, 2025
img
বিতর্কের মাঝেই মাঠে গড়াল প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ Dec 14, 2025
img
হাদির ওপর হামলাকারীদের ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সরকার : রিজওয়ানা Dec 14, 2025
img
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনিশ্চয়তায় পড়েছে টিকটকের বিনিয়োগকারীরা Dec 14, 2025