আওয়ামী লীগ নেতার দেড় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড

যশোর পৌরসভার অপসারিত মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা হায়দার গণি খান পলাশের দেড় বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একটি প্রতারণা মামলায় বুধবার (১৬ এপ্রিল) যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া এই রায় ঘোষণা করেন।

হায়দার গণি খান পলাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ২০০৪ সালের শেষ দিকে উপশহর এফ-ব্লকের ৮৩/১ বাড়ির ২.৯৩ শতক জমি বিক্রির জন্য ওই এলাকার আমজাদ হোসেনের স্ত্রী সুফিয়া খাতুনের সাথে সাড়ে চার লাখ টাকা দাম ঠিক করেন। অগ্রিম হিসেবে তিনি ওই বছরের ৯ অক্টোবর সুফিয়া খাতুনের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা গ্রহণ করে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিট করে দেন।

সুফিয়া খাতুন সরল বিশ্বাাসে বাকি তিন লাখ ৯০ হাজার টাকাও পরিশোধ করেন।

তবে, হায়দার গণি খান পলাশ সমুদয় টাকা গ্রহণ করলেও জমি রেজিস্ট্রি না করে ঘোরাতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি ২০০৫ সালের ১৪ মার্চ এফিডেভিটের মাধ্যমে একটি আমমোক্তারনামা করে জমির দখল বুঝিয়ে দেন সুফিয়া খাতুনকে। দখল পেয়ে সুফিয়া খাতুন ওই জমিতে বাড়ি ও দোকান ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দেন।

কয়েক মাস যেতে না যেতেই হায়দার গণি খান পলাশ ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে জোর করে ভাড়া আদায় শুরু করেন। ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি এক সালিশে হায়দার গণি খান পলাশ জমির দখল ছাড়বেন না জানিয়ে চলে যান। বিষয়টি মিমাংসায় ব্যর্থ হয়ে সুফিয়া খাতুন ওই বছরের ২৮ জানুয়ারি হায়দার গণি খান পলাশকে আসামি করে আদালতে প্রতারণা মামলা করেন।
এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি হায়দার গণি খান পলাশের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে দেড় বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

সাজাপ্রাপ্ত হায়দার গণি খান পলাশ বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

এফপি/এস এন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ঈদে আসছে নাবিলার ‘বনলতা সেন’ Dec 20, 2025
img
হাদির জানাজা ঘিরে ১ হাজার বডি ওর্ন ক্যামেরাসহ পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা Dec 20, 2025
img
গার্দিওলার সম্ভাব্য উত্তরসূরি খোঁজে ম্যানসিটি Dec 20, 2025
img
মাধুরীর 'তেজাব' সিনামা মুক্তির সময় ঘটে যাওয়া একটি ভীতিকর ঘটনা! Dec 20, 2025
img
ওসমান হাদি হত্যার মাস্টারমাইন্ড ‘শাহীন চেয়ারম্যান’ Dec 20, 2025
img
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি বাড়ানোর তাগিদ গণশিক্ষা উপদেষ্টার Dec 20, 2025
img
বিদেশে গানের শুটিংয়ের কারণ জানালেন ঐন্দ্রিলা Dec 20, 2025
সেমিফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের Dec 20, 2025
আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গির জেরে কেড়ে নেওয়া হলো ফিনিশ সুন্দরীর মুকুট Dec 20, 2025
img

মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য

পুরো ইউক্রেন ও ইউরোপের কিছু অঞ্চল দখল করার পরিকল্পনা পুতিনের Dec 20, 2025
img
হোয়াইট হাউসের ঐতিহ্যবাহী 'ক্রিসমাস ডিনারে' অভিনেত্রী মল্লিকা Dec 20, 2025
img
হাদির জানাজায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে মাঠে থাকবে ৮৭০ আনসার Dec 20, 2025
img
তাপমাত্রা বাড়লেও তেঁতুলিয়ায় কমেনি শীতের দাপট Dec 20, 2025
img
হাদির মৃত্যুতে পাকিস্তান হাইকমিশনের শোক Dec 20, 2025
img
জেনে নিন স্বর্ণ ও রুপার আজকের বাজারদর Dec 20, 2025
img
ময়নাতদন্তের জন্য হাদির মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে Dec 20, 2025
img
দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে হাদির জানাজায় দলে-দলে অংশগ্রহণ করুন : জামায়াত আমির Dec 20, 2025
img
ধর্মেন্দ্রর শেষ ছবি ‘ইক্কিস’ ঘিরে আবেগে ভাসছে নেটদুনিয়া Dec 20, 2025
img
মাদুরো সরকারকে ‘অবৈধ’ বললেন শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক Dec 20, 2025
img
কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-দূতাবাসে নিরাপত্তা জোরদার Dec 20, 2025