এনসিপির দাবির জন্য নির্বাচনে ব্যত্যয় ঘটার কারণ দেখছি না: রিজওয়ানা

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, এনসিপির দাবি হলো— তাদের দলের অবস্থান থেকে রাজনৈতিক দাবি। তারা তাদের রাজনৈতিক দাবি কিভাবে আদায় করবে, কিভাবে নিষ্পত্তি করবে, এটা এনসিপি বুঝবে। এর সঙ্গে সরকারের নির্বাচন সংক্রান্ত যে ঘোষণা, সেটার ব্যত্যয় ঘটার আমি কোনো কারণ দেখছি না।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পরিবেশ উপদেষ্টা।

সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন না হলে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচনে অংশ না-ও নিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এতে নির্বাচনের যে প্রতিশ্রুতি সরকারের, তাতে প্রভাব পড়বে কি না জানতে চান সাংবাদিকরা।

জবাবে রিজওয়ানা বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সেভাবে সরকারের কথাবার্তা বলার সুযোগ নেই। সরকার বলবে নির্বাচন কখন হবে, সেই অনুযায়ী তারা নিশ্চয়ই প্রস্তুতি নেবে। আর এনসিপির এটি রাজনৈতিক অবস্থান। আমরা আসলে আপনার মুখ থেকেই শুনলাম— সকাল থেকে তো কেবিনেট মিটিংয়েই ছিলাম। আমি মনে করি না— এই দাবি কেবিনেটে আলোচনার কোনও বিষয়।

এর আগে বুধবার এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, বর্তমান সময়ে যে মাঠ প্রশাসন রয়েছে, সেই মাঠ প্রশাসন মনে হচ্ছে নিরপেক্ষ আচরণ করছে না। বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চলছে এবং সেসব জায়গায় প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে।

তিনি বলেন, আমরা দেখছি প্রশাসন বিএনপির পক্ষ অবলম্বন করছে অনেক জায়গায়। মাঠপর্যায়ে যেসব জায়গায় চাঁদাবাজি চলছে, সেই জায়গায়ও প্রশাসন আসলে নিরব ভূমিকা পালন করছে। আমরা বলেছি, এ ধরনের প্রশাসন যদি থাকে তাহলে এর অধীনে নির্বাচন করাটা সম্ভব নয়। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের জন্য নিরপেক্ষ প্রশাসন, আমলাতন্ত্র, পুলিশ নিশ্চিত করতে হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, সংস্কার বিষয়ে আমরা যেই প্রস্তাবনাগুলো সংস্কার কমিশনে দিয়েছি, সেগুলোর কথা বলেছি। আমরা বলেছি, আমাদের তিনটি দাবির কথা- সংস্কার, বিচার ও গণপরিষদ নির্বাচন।

তিনি বলেন, আমরা বলেছি যে আমরা এখানে ন্যূনতম সংস্কার নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারের জন্য আমরা কাজ করছি। এই পরিবর্তনগুলো ছাড়া নির্বাচন হলে- তা গ্রহণযোগ্য হবে না। সেই নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টি অংশগ্রহণ করবে কিনা- সেটাও বিবেচনাধীন থাকবে।


এমআর/এসএন


Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিচারক ও নারীর মন বোঝা কষ্টকর: অ্যাটর্নি জেনারেল Nov 15, 2025
img
শুটিং সেটে রক্তাক্ত হয়েও থামেননি আমির খান Nov 15, 2025
img
নির্বাচনী প্রচারণার সময় হাদিকে লক্ষ্য করে কারা ছুড়ল ময়লা পানি? Nov 15, 2025
img
কাজ করলেই শুধু হবে না, কাজে আনন্দ জরুরি : দেব Nov 15, 2025
img
গাজীপুরে চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে আগুন Nov 15, 2025
img
দলগুলো নারী অধিকার নিয়ে ইতিবাচক কথা বললেও বাস্তবে উল্টো কাজ করছে : শহিদুল আলম Nov 15, 2025
img
বিএনপি বড় দল, তবে জনপ্রিয় দল জামায়াত : ডা. তাহের Nov 15, 2025
img
১৭টি সুইডিশ গ্রিপেন যুদ্ধবিমান কেনার ঘোষণা কলম্বিয়ার Nov 15, 2025
img
রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় থাকবে, ধর্ম ধর্মের জায়গায় : জাহিদ হোসেন Nov 15, 2025
img
বিহারের সবচেয়ে কম বয়সী বিধায়ক সংগীতশিল্পী মৈথিলী ঠাকুর Nov 15, 2025
img
দেশে স্বর্ণের বাজারে বড় ধস, ভরিতে কমল ৫ হাজার ৫১৯ টাকা Nov 15, 2025
img
লক্ষ্মীপুরে বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে হত্যা Nov 15, 2025
img
জুয়ার অভিযোগে ১০২ ফুটবলারকে অস্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করল তুরস্ক Nov 15, 2025
img
অদ্ভুত নিয়মে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ সম্প্রচার হবে উত্তর কোরিয়ায়, ৬০ মিনিটেই ম্যাচ শেষ! Nov 15, 2025
img
ইউরোপে পোশাক রপ্তানি, ৯ মাসে এলো সোয়া ১৫ বিলিয়ন ডলার Nov 15, 2025
img
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি পরিষদ নয়, সব দলের সমর্থনেই গড়া: তথ্য উপদেষ্টা Nov 15, 2025
img
ব্যবসায়ীদের জন্য সব কিছু করতে বিএনপি প্রস্তুত : আমীর খসরু Nov 15, 2025
img
প্রথমবারের মতো সরকারের ঋণ ছাড়ালো ২১ লাখ কোটি Nov 15, 2025
img
জাবি ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার স্বার্থে রাত ১০টার পর যেকোনো অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ Nov 15, 2025
img
দুই ছবি থেকে বাদ, তবু নিজের সিদ্ধান্তে অটল দীপিকা! Nov 15, 2025