আগামীর বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন নতুন গঠনতন্ত্রের : ফরহাদ মজহার

আগামী বাংলাদেশের জন্য নতুন সংবিধান নয়, বরং নতুন গঠনতন্ত্র দরকার বলে মত দিয়েছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার।

তিনি বলেন, অনেকেই একে বিপ্লব বললেও, এটি আসলে গণ-অভ্যুত্থান। এখন যে লড়াই চলছে, তা মূলত একটি সাংস্কৃতিক লড়াই—যেটি অতীতে অসম্পূর্ণ ছিল, সেই লড়াইকে সম্পূর্ণ করার প্রয়াস।

আর এ সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদেরকে আগামী বৃহত্তর লড়াইয়ের জন্য তৈরি হতে হবে। আর এ বৃহত্তর লড়াইটা হবে নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করা। ছাত্ররা কিন্তু প্রথম থেকেই বলছে বাংলাদেশের জন্য নতুন গঠনতন্ত্র প্রয়োজন, নতুন সংবিধান বা আইন না।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ফরহাদ মজহার বলেন, গঠনতন্ত্র মানে কিন্তু আইন না, তবে সংবিধান মানে হচ্ছে আইন। আর আমরা কিন্তু ঔপনিবেশিক শাসক না। ইংরেজরা আইন প্রণয়ন করে আর জনগণ গঠনতন্ত্র করে। আর এ পার্থক্যটাই মনে রাখতে হবে।

তার মানে আপনি যখনই সংবিধান বলবেন, আপনি ঔপনিবেশিক একজন শাসক। তখন আপনি লুটেরা মাফিয়াতন্ত্রের মতো একজন শাসক। আপনি একটা আইন দিয়ে গরিবদের শাসন করবেন।

ফরহাদ মজহার বলেন, আর গঠনতন্ত্র মানে জনগণ নিজেরাই অংশগ্রহণ করবে। তারা পরস্পরের সঙ্গে কিভাবে বাস করবে, এটা তারা তৈরি করে।

আর এখানে তারা সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দেয় এবং সেখান থেকে শিক্ষা নেয়, কোনটাকে বর্জন করবে আর কোনটাকে রাখবে। এটাকেই এ সরকার দুটি বিষয় করে দেখিয়ে দিয়েছে। একটি হচ্ছে চৈত্রসংক্রান্তি এবং অপরটি হচ্ছে নববর্ষ।

তিনি বলেন, নববর্ষের পরে আমি অনেক পত্রিকা দেখেছি, অধিকাংশ পত্রিকা বুঝতে পারেনি এ সরকার এ দুইটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে জনগণকে কী বার্তা দিতে চাচ্ছে।

ফরহাদ মজহার বলেন, এখন বলা যায় যে চৈত্রসংক্রান্তি এটা আসলে কেন গুরুত্বপূর্ণ। কারণ চৈত্রসংক্রান্তি আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত। আমাদের কৃষকরা সংক্রান্তি করে। বৈশাখ মাস যখন আসে তখন চৈত্র যে নক্ষত্র এবং গ্রহের যে নক্ষত্র, তার সঙ্গে তাদের (কৃষকদের) জীবনটা যুক্ত। ফলে সৌরমণ্ডলের ওই রাশিটা চলে যায় এবং মেষ রাশিতে প্রবেশ করে। এ যে পরিবর্তনটা, এটার সঙ্গে ঋতুর পরিবর্তন হয়। আর এ ঋতুর পরিবর্তনটা তারা (কৃষকরা) উৎসব করে পালন করেন।

আরএ/টিএ


Share this news on:

সর্বশেষ

img
দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন তারেক রহমান : মাহবুব Sep 22, 2025
img
ট্রাম্পের শুল্ক চুক্তি বাস্তবায়ন করতে গেলে সংকটে পড়বে অর্থনীতি: লি জে মিয়ং Sep 22, 2025
img
হানিমুনে মালদ্বীপ যাচ্ছেন শবনম ফারিয়া Sep 22, 2025
img
নিজের সব সম্পদ স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে বিলিয়ে দেবেন বিল গেটস Sep 22, 2025
img
দুর্নীতি বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ফিলিপিন্স Sep 22, 2025
img
রাকসু নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার আহ্বান ছাত্রদলের Sep 22, 2025
img
নিয়ম ভাঙায় রাশফোর্ডকে শাস্তি দিলেন ফ্লিক Sep 22, 2025
img
উপদেষ্টা টম হোম্যানের ঘুষ গ্রহণের তদন্ত বন্ধ করল ট্রাম্প প্রশাসন Sep 22, 2025
img
শহরে এসেছে নাগিন আজমেরী হক Sep 22, 2025
img
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে হবে নুরের চিকিৎসা Sep 22, 2025
img
ঢাকায় ঝটিকা মিছিল করায় আওয়ামী লীগের ৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার Sep 22, 2025
img
সাভারে ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ রাখার আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার Sep 22, 2025
img

ডিএসসিসি

জলাবদ্ধতা নিরসনে ওয়ার্ডভিত্তিক ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম কাজ করছে Sep 22, 2025
img
সাবিলা নূর-সিয়ামের জুটি আসছে বড় পর্দায় Sep 22, 2025
img
পুঁজিবাজার থেকে সবসময় মুনাফা আসবে এমন ভাবা ভুল : অর্থ উপদেষ্টা Sep 22, 2025
img
‘ভালোবাসি তোমায়, বন্ধু জুবিন’ Sep 22, 2025
img
টিকটকের মালিকানা নিয়ে মুখ খুললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প Sep 22, 2025
img
রাবিতে পোষ্য কোটা বাতিলের প্রতিবাদে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ শুরু Sep 22, 2025
img
এবার পূজার আয়োজন খুবই ভালো, কোনো সমস্যা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Sep 22, 2025
img
ভারতে ভোটার তালিকায় একটি ঘরেই ৪ হাজার ২৭১ ভোটার! Sep 22, 2025