ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রথম ১০০ দিন: বিস্ফোরক মন্তব্যে ফের আলোচনায়

হোয়াইট হাউসে দ্বিতীয়বার বসেই আগের চেয়েও বেপরোয়া ও বিতর্কিত ভূমিকায় ফিরেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শপথ নেওয়ার পর মাত্র ১০০ দিনের মধ্যেই একের পর এক রেষারেষি, চমকপ্রদ এবং কূটনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর মন্তব্যে তিনি বিশ্বব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন। কখনো হাস্যরস, কখনো ভীতি—ট্রাম্পের কথাবার্তা বরাবরের মতোই নতুন যুগের রাজনীতিতে অস্থিরতা যোগ করছে।

আসুন এক নজরে দেখে নিই এই ১০০ দিনে ট্রাম্পের আলোচিত কিছু মন্তব্য:

🔹 “আমাকে ঈশ্বর বাঁচিয়েছেন”
দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই কংগ্রেসে দেওয়া বক্তব্যে তিনি নিজেকে ঈশ্বরের পক্ষ থেকে প্রেরিত নেতা হিসেবে উপস্থাপন করেন। জানান, নির্বাচন চলাকালীন এক হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে যাওয়া ছিল ‘ঈশ্বরের ইচ্ছা’। এই বক্তব্য মার্কিন রাজনীতিতে বিভক্ত প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।

🔹 “জেলেনস্কি একজন নির্বাচনবিহীন একনায়ক”
রাশিয়ার প্রতি সদয় অবস্থানের ইঙ্গিত দিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে এভাবে আখ্যায়িত করেন ট্রাম্প। পরে অবশ্য সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে বলেন, “আমি কি আসলেই এটা বলেছি?”—ট্রাম্পীয় ধাঁচে মন্তব্য থেকে সরে দাঁড়ানোর কৌশল।

🔹 “সব দেশ ফোন করে আমার পেছনে পড়ে আছে”
বাণিজ্য যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিশ্ব নেতারা তার মন জোগানোর জন্যই যেন ব্যস্ত। তার কঠোর শুল্কনীতির পর আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়।

🔹 “গাজা হবে মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরা”
মধ্যপ্রাচ্যের দীর্ঘদিনের সংঘাত নিয়ে এক ধরনের কল্পনা উপস্থাপন করেন তিনি। নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, গাজা উপত্যকায় বিলাসবহুল রিসোর্ট বানানো হবে—যা বিস্ময়ের সঙ্গে গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

🔹 “কানাডা আমাদের ৫১তম প্রিয় রাজ্য হওয়া উচিত”
ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এই পোস্ট নিয়ে কানাডিয়ান রাজনীতিকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কেউ কেউ একে আমেরিকান ‘এক্সপানশনিজম’-এর হাস্যকর রূপ বলেও উল্লেখ করেন।

🔹 “ইইউ সৃষ্টি হয়েছে আমেরিকাকে ঠকানোর জন্য”
মন্ত্রিসভায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেবে, পুরোনো মিত্রতার যুগ শেষ।

🔹 “এই বিচারককে ইমপিচ করা উচিত!”
এক অভিবাসন মামলায় ট্রাম্পের নীতিকে বাধা দেওয়ায় এক বিচারককে সরাসরি ইমপিচ করার আহ্বান জানান, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বলে মনে করেন অনেক আইন বিশেষজ্ঞ।


এসএস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিশেষ সম্মাননা পেতে চলেছেন আমির খান Jul 03, 2025
img
ঢাবির আইবিএ ক্যান্টিন সংস্কারের সময় দেয়াল চাপা পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু Jul 03, 2025
img
বাবু ভাইয়া ফিরতেই রসিকতা শুরু সুনীল শেঠির! Jul 03, 2025
img
বিসিবির কোচ হিসেবে যোগ দিলেন সাবেক ক্রিকেটার নাজিমউদ্দিন Jul 03, 2025
img
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পারমাণবিক নিরাপত্তা চুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন Jul 03, 2025
img
পিআর পদ্ধতিতে ভোট হলে স্থানীয় পর্যায়ে নেতা ও নেতৃত্ব তৈরি হবে না : রিজভী Jul 03, 2025
img
রাজবাড়ীতে চাঁদা না পেয়ে বালু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম Jul 03, 2025
img
যাত্রাবাড়ীর হত্যা মামলায় শরীয়তপুরের সাবেক মেয়র গ্রেফতার Jul 03, 2025
যে ১টা কারণে আপনি ধরা খেতে পারেন Jul 03, 2025
img
তাবেলা সিজার হত্যা মামলার রায়: তিন আসামির যাবজ্জীবন, খালাস ৪ Jul 03, 2025
ফর্মহীন লিটন দাস ! ৮ ইনিংসে মাত্র ১৩ রান, কেন এমন অবস্থা? Jul 03, 2025
বলিউডে অভিষেক শানায়ার, ছবির ট্রেইলার দেখে আবেগাপ্লুত বাবা সঞ্জয় কাপুর Jul 03, 2025
বাতিল প্রতীকী ব্ল্যাকআউট, বহাল থাকবে বাকি আয়োজন Jul 03, 2025
যুদ্ধ নয়, শান্তির পথে বিশ্বের নিরপেক্ষ ১২টি দেশ Jul 03, 2025
শাপলা পেতে ‘মরিয়া’ নাগরিক ঐক্য, আশাবাদী এনসিপিও Jul 03, 2025
ভ্যাপসা গরমে জাবি ছাত্রদলের মানবিক সাড়া Jul 03, 2025
img
জামায়াতের সঙ্গে জোট হয়নি, পিআর পদ্ধতি চায় গণঅধিকার Jul 03, 2025
প্রতারণা করে কোটি টাকা লো'পা'ট;ফুডপান্ডার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা! Jul 03, 2025
img
বাংলা নাটকে দর্শকপ্রিয়তার শীর্ষে যে ছয়জন অভিনেত্রী Jul 03, 2025
‘আশুরা’ উপলক্ষে যেসব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি Jul 03, 2025