৯ বছরে মাত্র ৩১ দিন নির্মল বাতাস পেয়েছে ঢাকাবাসী: গবেষণা

রাজধানী ঢাকার বাসিন্দারা গত নয় বছরে তিন হাজার ১১৪ দিনের মধ্যে মাত্র ৩১ দিন নির্মল বা ভালো বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পেরেছে। অর্থাৎ বছরের মাত্র এক শতাংশ সময় ঢাকাবাসী বিশুদ্ধ বাতাস পাচ্ছে। অন্যদিকে বছরের অর্ধেকের বেশি সময় অস্বাস্থ্যকর, চরম অস্বাস্থ্যকর বা দুর্যোগপূর্ণ বাতাস ফুসফুসে টেনে নিচ্ছে ঢাকাবাসী।

আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিশ্ব ধরিত্রী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই চিত্র তুলে ধরা হয়।

‘বিশ্ব ধরিত্রী দিবস ২০২৫: বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে করণীয়’ শীর্ষক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, ‘বায়ুদূষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বৃদ্ধ ও শিশুরা। আমরা বৃদ্ধরা তো কয়েকদিন পর মরেই যাব। কিন্তু আগামী দিনের নাগরিক শিশুদের অবস্থাটা কি হবে? আমাদের বর্তমান পরিবেশ বিষয়ক উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছেন।’

সংবাদ সম্মেলনের বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে নবায়নযোগ্য জ্বালানীর ভূমিকা নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার যুগ্ম সম্পাদক ও ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার।

প্রবন্ধে তিনি ঢাকার আমেরিকান দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত ২০১৬ হতে ২০২৪ সালের বায়ুমানসূচক (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) ও তথ্য‌-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে রাজধানীর বায়ুদূষণের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নয় বছরের তিন হাজার ১১৪ দিনের মধ্যে ঢাকাবাসী মাত্র ৩১ দিন নির্মল বায়ু সেবন করতে পেরেছে। এ সময় রাজধানীতে সহনীয় বা গ্রহণযোগ্য মানের বাতাস ছিল ৬২৪ দিন যা মোট দিনের ২০ শতাংশ। ২৮ শতাংশ সময়জুড়ে অর্থাৎ, ৮৭৮ দিন রাজধানীর বাতাস ছিল সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর।

গত নয় বছরে ৮৫৩ দিন অস্বাস্থ্যকর ও ৬৩৫ দিন খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাস ছিল রাজধানীতে যা মোট সময়ের ৪৮ শতাংশ। এ সময় ঢাকার বাসিন্দারা সবচেয়ে খারাপ অর্থাৎ দুর্যোগপূর্ণ বাতাস সেবন করেছে ৯৩ দিন যা মোট দিনের ৩ শতাংশ। ২০২৩ সালে ৩৬৫ দিনের মধ্যে ১৪ দিন ছিল অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বা দুর্যোগপূর্ন যা ২০২৪ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ দিনে।

  আরএম/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় মর্মান্তিক ঘটনায় প্রাণ গেল ৩ পুলিশ সদস্যের Sep 18, 2025
img
সুখবর দিলেন হান্নান মাসউদ, হাতিয়ায় ফেরী চলাচল শিগগিরই Sep 18, 2025
img
লিবিয়ায় নৌকাডুবিতে ৬১ অভিবাসনপ্রত্যাশীর প্রাণহানি Sep 18, 2025
img
সাবেক এমপি বাহার ও তার মেয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা Sep 18, 2025
img
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার Sep 18, 2025
img
গাজায় শেষ চালু থাকা হাসপাতালের কাছে হামলা, প্রাণ হারাল ১৯ Sep 18, 2025
img
দশ বছরে সর্বনিম্ন ব্যাংকের সিএসআর ব্যয় Sep 18, 2025
img
রাকসু নির্বাচন : হাতে ভোট গণনাসহ ছাত্রদলের ৬ দাবি Sep 18, 2025
img
তুমি আমাদের ছেড়ে চলে গেলে : সৃজিত Sep 18, 2025
img
আজ লিবিয়া থেকে বিশেষ ফ্লাইটে ফিরছেন আরও ১৭৬ জন বাংলাদেশি Sep 18, 2025
img
সন্ধান মিলেছে ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ ৩৮ বাংলাদেশির Sep 18, 2025
img
চ্যালেঞ্জ কাপে কিংসের দ্বিতীয় শিরোপা, নাকি মোহামেডানের প্রথম Sep 18, 2025
img
দেশে কত দামে স্বর্ণ ও রুপা বিক্রি হচ্ছে আজ? Sep 18, 2025
img

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

হ‍্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন মিউনিখ Sep 18, 2025
img

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

দাপুটে পারফরম্যান্সে শিরোপা ধরে রাখার মিশন শুরু পিএসজির Sep 18, 2025
img

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদকে ৩-২ গোলে হারাল লিভারপুল Sep 18, 2025
অভিযোগে ফুঁসে উঠল জনতা, ভাঙচুর হলো বিএনপি অফিস Sep 18, 2025
১৭ বিয়ে ও প্রতারণার দায়ে বরিশালের বন কর্মকর্তা বরখাস্ত Sep 18, 2025
ভোট দিতে পারবেন না হাসিনাসহ শেখ পরিবারের সদস্যরা Sep 18, 2025
হ্যান্ডশেক বিতর্কে জয় পাকিস্তানের, দায়িত্ব হারালেন পাইক্রফট! Sep 18, 2025