এখনও শুকায়নি মেহেদির রঙ, কিন্তু মুছে গেল সিঁথির সিঁদুর। এমনই দুর্ভাগ্য হরিয়ানার গুরুগ্রামের বাসিন্দা হিমাংশী নরওয়ালের। স্বপ্নের মধুচন্দ্রিমা তাকে সারাজীবন ধাওয়া করে বেড়াবে দুঃসহ এক দুঃস্বপ্ন হয়ে। কারণ এখানেই নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন তার স্বামী বিনয় নরওয়াল।
গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ভূ-স্বর্গ হিসেবে খ্যাত ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বন্দুক হামলার শিকার হন এই নবদম্পতি। হামলায় হিমাংশী নরওয়ালের চোখের সামনেই প্রাণ হারিয়েছেন তার স্বামী ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্য লেফটেন্যান্ট বিনয়।
স্বামীর মরদেহের পাশে নিঃশব্দে বসে আছেন হিমাংশী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে ভাইরাল স্বামীর নিথর দেহের পাশে স্ত্রীর নির্বাক হয়ে বসে থাকার সেই দৃশ্যটি। নতুন এই দম্পতির এমন ছবি কাঁদিয়েছে কোটি মানুষকে।
এবার সামনে এসেছে আরেকটি ভিডিও, যেখানে কফিনের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় তাকে। স্যালুট দিয়ে প্রিয় মানুষটিকে শেষ বিদায় জানান তিনি।
দিল্লি বিমানবন্দরে জাতীয় পতাকায় মোড়ানো কফিনে শ্রদ্ধা জানানো হয় ২৬ বছর বয়সী লেফটেন্যান্ট বিনয়কে। মাত্র দু’বছর আগে তিনি যোগ দেন ভারতীয় নৌবাহিনীতে। কয়েক মাস আগে পদোন্নতি পেয়ে হন লেফটেন্যান্ট।
মাত্র ৭ দিন আগে ১৬ এপ্রিল জাঁকজমক আয়োজনে বিয়ে হয় বিনয় ও হিমাংশীর। মধুচন্দ্রিমায় সুইজারল্যান্ড যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল এ দম্পতির। কিন্তু ভিসা জটিলতায় এ পরিকল্পনা বদলাতে হয় তাদের। ঠিক করেন ভালোবাসার মানুষের সাথে ঘুরে আসবেন পৃথিবীর স্বর্গখ্যাত জম্মু ও কাশ্মীর।
কিন্তু মঙ্গলবার ঘোরাঘুরির এক পর্যায়ে তারা যখন ভেলপুরি খাচ্ছিলেন ঠিক তখনই শুরু হয় বন্দুক হামলা, গুলি লাগে বিনয়ের মাথায়। এতে প্রাণ হারান তিনি। এ হামলায় বিনয় ছাড়াও প্রাণ হারান আরও ২৫ জন।
এসএম/টিএ