৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে হবে পাকিস্তানিদের, তবে কি পাকবধূ সীমা হায়দারের ভারতে থাকা অনিশ্চিত?

পহেলগাম হামলার পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারতে থাকা পাকিস্তানিদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। সেই সিদ্ধান্ত ঘিরেই এখন সামাজিক মাধ্যমে একটাই প্রশ্ন ঘুরছে— তাহলে সীমা হায়দারের কী হবে? তিনি কি অন্যান্য পাকিস্তানি নাগরিকদের মতোই ভারত ছাড়তে বাধ্য হবেন?

প্রেমের টানে পাকিস্তান থেকে চার সন্তানকে নিয়ে বেআইনিভাবে ভারতে চলে আসা সীমা হায়দারের গল্প এখন অনেকেরই জানা। পাবজি খেলতে গিয়ে পরিচয়, তারপর প্রেম— এবং ২০২৩ সালের জুনে নেপালের পথ ধরে ভারতে পা রেখে শচীন মীনাকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর একটি কন্যাসন্তানেরও জন্ম দেন সীমা। তবে তার ভারতে আসা বেআইনি হওয়ায়, একবার গ্রেফতারও করা হয় তাকে। জামিনে মুক্তি পেলেও এখনও চলছে তদন্ত। ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার ইচ্ছা একাধিকবার প্রকাশ করেছেন সীমা, কিন্তু সেই প্রক্রিয়া এখনও সম্পূর্ণ হয়নি।

উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের তদন্তে উঠে এসেছে সীমার পরিবারের সঙ্গে পাকিস্তান সেনার যোগসূত্রের সম্ভাবনার কথা। গোয়েন্দাদের মতে, সীমা বাস্তবে শিক্ষিত, ইংরেজিতে দক্ষ এবং শহুরে সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত হলেও ভারতে ঢোকার সময় নিজেকে বদলে গ্রামের মেয়ে এবং ভারতীয় বধূর ধাচে গড়ে তুলেছেন। এমনকি নিজের সন্তানদেরও সেইভাবে তৈরি করেছেন। দুই বছরের বেশি সময় ধরে তদন্ত করছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

এদিকে, সীমা যখন সদ্য কন্যাসন্তান জন্ম দিয়েছেন, তখনই ঘটে গেল পহেলগাম হামলা, যার জেরে ভারতের তরফে পাকিস্তানের উপর কূটনৈতিক চাপ বাড়ানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সীমার ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। বিবাহসূত্রে তিনি ভারতে থাকতে পারবেন কি না, তা এখন পুরোপুরি নির্ভর করছে উত্তরপ্রদেশ সরকারের রিপোর্ট ও কেন্দ্রীয় প্রশাসনের সিদ্ধান্তের উপর। যদি প্রশাসন তার বিরুদ্ধে নেতিবাচক রিপোর্ট দেয়, তাহলে সীমাকে দেশ ছাড়তেই হতে পারে। আপাতত, সীমার ভবিষ্যৎ ঝুলে রয়েছে এক অনিশ্চয়তার মধ্যে।

এসএম/টিএ

Share this news on: