গাইবান্ধার ফুলছড়িতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) প্রশিকার এক নারী কর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের মদনেরপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান।
এনজিওকর্মী হিরা খাতুন (৩৩) নাটোরের সিংড়া উপজেলার বনগ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে এবং প্রশিকার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া শাখায় মাঠকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, হিরা খাতুন বুধবার (২৩ এপ্রিল) প্রশিকা অফিসে কাজ শেষে বাসায় ফেরেন। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে তিনি অফিসে না আসায় সহকর্মীরা তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও কোনো সাড়া মেলেনি। পরে তারা বাসায় গিয়ে দরজায় ধাক্কাধাক্কি করেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে জানালার ফাঁক দিয়ে মোবাইলের আলোতে তারা দেখেন, ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার মরদেহ ঝুলছিল। খবর পেয়ে ফুলছড়ি থানা পুলিশ ওই এনজিওকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
বাসার মালিক শহিদুর রহমান বলেন, ‘প্রশিকা মদনেরপাড়া শাখার ম্যানেজার সুরেষ চন্দ্র বর্মণ গ্রাহকদের প্রায় কোটি টাকা নিয়ে গেল রোজার ঈদের সময় থেকে পালিয়ে রয়েছেন। এরপর থেকে গ্রাহকরা হিরাসহ এনজিওর অন্যান্য কর্মীদের ওপর টাকা ফেরতের চাপ দিয়ে আসছিল।’
প্রশিকার বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আনন্দ মোহন বলেন, ‘ম্যানেজার সুরেষ চন্দ্র ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার পর আর অফিসে আসেননি। গ্রাহকদের অভিযোগ থেকে আমরা জানতে পারি, তিনি প্রায় কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে এবং প্রমাণ সাপেক্ষে গ্রাহকদের টাকা ফেরতের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে হিরা খাতুন কেন আত্মহত্যা করেছেন, তা আমাদের জানা নেই।’
কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সোহেল রানা শালু বলেন, ‘আমি কয়েকদিন ধরে শুনে আসছি, ম্যানেজার সুরেষ চন্দ্র গ্রাহকদের টাকা নিয়ে পালিয়েছেন। সেই চাপেই হয়তো হিরা আত্মহত্যা করেছেন।’
এ ব্যাপারে ফুলছড়ি থানার ওসি খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বজনদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এসএম/টিএ