বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।
২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় ইসলামাবাদের একটি পাঁচতারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন পাকিস্তান সরকারের পক্ষে দেশটির প্রতিরক্ষা বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ।
এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী জাম কামাল খান, মেরিটাইম বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী মোহাম্মদ জুনায়েদ আনোয়ার, সংসদ বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী ড. তারিক ফজল চৌধুরী, পরিকল্পনা উন্নয়ন ও পাকিস্তানের বিশেষ উদ্যোগ বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী আহসান ইকবাল চৌধুরী, উচ্চ শিক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান (মন্ত্রীর পদমর্যাদা) ড. মোখতার আহমেদ, জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা ও গবেষণা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মালিক রাশিদ আহমদ খান, ধর্মীয় বিষয়ক এবং আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কিশো মাল খেল দাস, সিনেটর ও জাতীয় পরিষদের সদস্যবৃন্দ, প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনার, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান, পাকিস্তান সরকারের বেসামরিক ও সামরিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, প্রবাসী বাংলাদেশি সমন্বয়ে পাঁচ শতাধিক অতিথি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান ও তার সহধর্মিনী নাহিদ রওশন এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তারা অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান।
সংবর্ধনা হলটি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, পর্যটন ও কৃষ্টি তুলে ধরে ব্যানার, স্ট্যান্ডিজ, লোকজশিল্প পণ্য, ফুল ও আলোকসজ্জায় সুসজ্জিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি এবং জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ক জোরদারে উভয় দেশের জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের উপর আলোকপাত করেন। তিনি দক্ষিণ এশীয় দেশসমূহের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে সকলকে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উপর জোর দেন।
ফেডারেল মন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ শুভেচ্ছা বক্তব্যে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে অভিনন্দন জানান। তিনি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে এ সম্পর্ক আরো জোরদার করার মাধ্যমে দু'দেশের মানুষের উন্নয়ন সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।
দিবসটি উপলক্ষে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের সাথে নিয়ে হাইকমিশনার কেক কাটেন। আমন্ত্রিত অতিথিদের বাংলাদেশি খাবারসহ নানারকম সুস্বাদু খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
এফপি/টিএ