বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলকে জড়িয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ভারতের অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘নিউজ অ্যারেনা ইন্ডিয়া’-কে দায়ী করে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২৪ এপ্রিল প্রকাশিত “Bangladesh legal advisor meets top Lashkar-e-Taiba operative post Jammu and Kashmir attack” শিরোনামের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, কাশ্মীরের পেহেলগামে সংঘটিত একটি হত্যাকাণ্ডের পর আসিফ নজরুল লস্কর-ই-তাইয়েবার এক শীর্ষ নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আইন মন্ত্রণালয় একে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, কল্পনাপ্রসূত ও মানহানিকর’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
এছাড়া প্রতিবেদনে হেফাজতে ইসলামের নেতাদের ভুল পরিচয়ে তুলে ধরা হয়েছে বলে দাবি করেছে মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বলা হয়, হেফাজত একটি বৈধ ইসলামী সংগঠন, যারা বর্তমানে রাজনৈতিক সংলাপে এবং ঢাকায় বিভিন্ন বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গেও নিয়মিত বৈঠক করছে। অথচ তাদের নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে হেফাজত নেতাদের বৈঠক প্রসঙ্গে বিবৃতিতে জানানো হয়, ভারতের প্রতিবেদনে যে তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে, সেই বৈঠক তার অন্তত তিন দিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কেবল চলমান মামলাসংক্রান্ত আইনি আলোচনা ও তালিকা হস্তান্তর করা হয়। আলোচনার শেষে একটি ছবি তোলা হয়, যা স্বাভাবিক ও প্রচলিত বিষয়।
আসিফ নজরুলের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে ওঠা প্রশ্ন সম্পর্কে বলা হয়, মূল পোস্টটি একজন ভারতীয় নাগরিকের, যিনি ভারতের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন। আসিফ নজরুল সেই পোস্টটি শেয়ার করে হামলার নিন্দা জানান এবং বিভ্রান্তির আশঙ্কায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা সরিয়ে ফেলেন।
বিবৃতির শেষাংশে বলা হয়, নিউজ অ্যারেনা ইন্ডিয়ার এমন প্রতিবেদন সাংবাদিকতার ন্যূনতম নীতিমালারও পরিপন্থি। এ ধরনের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সব গণমাধ্যমকে সত্য যাচাই ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়া উপদেষ্টা আসিফ নজরুল পেহেলগামের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে তিনি দ্রুত হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
এসএস