মাগুরার মহম্মদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবগঠিত কমিটির পক্ষে এবং বিপক্ষে মিছিল ও সমাবেশ করেছেন নেতাকর্মীরা। এক পক্ষের নেতাকর্মীরা নবগঠিত কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন এবং আরেক পক্ষের নেতাকর্মীরা ‘পকেট কমিটি’ আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলও সমাবেশ করেছেন। তারা এই কমিটি বাতিল চেয়ে মাগুরা জেলা কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামও দিয়েছেন।
শুক্রবার কমিটি পক্ষে একাংশ এবং শনিবার বিপক্ষে আরেকাংশ মিছিল ও সমাবেশ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার মহম্মদপুর উপজেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেন সংগঠনটি মাগুরা জেলা কমিটির জেলার আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার সেলিম এবং সদস্য সচিব মো. হুসাইন। ওই কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে শুক্রবার দুপুরে আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ করেন আহ্বয়ক মো. রাকিবুল হাসান এবং সদস্য সচিব জুনায়েদ আহম্মেদ শওকতের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মীরা। একদিন পর শনিবার দুপুরে ওই কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে তা বাতিলের দাবিতে কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান মামুন, মুখপাত্র জান্নাতুল মাওয়া, যুগ্ম সদস্য সচিব মো. লিমন মিয়া ও আরমানের নেতৃত্বে অসংখ্য নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন।
এ সমাবেশে বক্তারা দাবি করেন, কমিটির শীর্ষ পদে জেলা কমিটির নেতা অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে তারা এই পকেট কমিটি করেছেন। এ ছাড়া দায়িত্বশীল পদে যাদের রাখা হয়েছে তারা বেশির ভাগ সময়ে জেলার বাইরে অবস্থান করেন। তাদের কাউকেই গত ৮ মাসে সংগঠনে সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে দেখি নাই আমরা। তারা অতিথি পাখির মত মহম্মদপুরে আসেন এবং চলে যান। এই পকেট কমিটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি বাতিল করা না তাহলে আরও কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা করার হুঁশিয়ারি দেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, কমিটিকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটতে পারে।
জেলা কমিটির আহ্বায়ক সেলিম হোসেন বলেন, নবগঠিত কমিটির কয়েকজন সদস্য মিলে মিছিল করেছেন বলে জানতে পেরেছি। বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এসএন