রাবি রেজিস্ট্রারের বাসায় ককটেল হামলা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রেজিস্ট্রার ইফতেখারুল আলম মাসউদের বাসায় ককটেল হামলা করা হয়েছে। গতকাল রাতে এই ঘটনা ঘটে, যেখানে তার বাসায় ৪-৫টি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়।

এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, রাতে ওই ঘটনার পরপরই স্যার আমাকে কল দিয়েছিলেন আমি উনাকে বাসা থেকে বের হতে না করেছিলাম। পরে পুলিশ এলে তারা বের হয়। তার বাসায় অসুস্থ বাবা, ছোট ছোট বাচ্চা ছিল। তারা সবাই ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। তবে তারা সবাই সুস্থ আছে। নিরাপত্তার জন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। আর আমরা কোনো ক্লু পেলে তাদেরকে লজিস্টিক সাপোর্ট দিতে পারব।

সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার লিখেছেন, আমাদের জুলাই আন্দোলনের সহযোদ্ধা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্যারের বাসায় ককটেল ফাটিয়ে প্রমাণ করল এই শহর আমাদের জন্য কতোটা অনিরাপদ। স্যার আফসোস করে বলছিলেন ছোট থেকে এখানে বেড়ে উঠলাম, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলতাম তখনও কেউ এই সাহস পায়নি, আর এখন এই ঘটনা ঘটল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তির সঙ্গে এমন হলে আমাদের শিক্ষার্থী ভাইবোনের জন্য কতোটা অনিরাপদ এই শহর।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতেখারুল আলম মাসউদকে একাধিকবার কল দিলেও পাওয়া যায়নি।

উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ফরিদ উদ্দীন খান লিখেছেন, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে কিন্তু যেয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই উনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের নিজ বাড়িতে রাতের আধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।

এ বিষয়ে উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে লিখেছেন, এই প্রশাসন একটা টিম। এখানে কারো ওপর অন্যায় আঘাত, সবার ওপর আঘাত। আমরা এই স্পিরিট ধারণ করি। প্রফেসর ইফতিখার মাসউদের বাসভবনের গেটে ককটেল ছোড়া হয়েছে- কথাটি ঠিক নয়। সরাসরি তার বাসায় ছোড়া হয়েছে। অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে। শাস্তি পেতে হবে।

আরএ/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ ফোনালাপে কোনো অগ্রগতি হয়নি : ট্রাম্প Jul 04, 2025
img
আমার নাম ভাঙিয়ে কেউ যদি চাঁদা দাবি করে, সে আমার লোক নয় : সারজিস Jul 04, 2025
এখনও কোটা বহাল! বুয়েট বন্ধ করে দিতে বললো শিক্ষার্থীরা! Jul 04, 2025
img
বৈধ উৎস নেই, তারিক সিদ্দিকের সম্পদ বাজেয়াপ্তের আহ্বান Jul 04, 2025
গোলাম মাওলা রনির প্রতি সরাসরি অভিযোগ প্রেস সচিবের Jul 04, 2025
বাংলাদেশপন্থী কারা, হাসনাত আব্দুল্লার উত্তর Jul 04, 2025
img
পিআর পদ্ধতিতে ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে, রোধ হবে দুর্নীতি : মাসুদ সাঈদী Jul 04, 2025
img
বিএনপিতে কোনো হাইব্রিডদের জায়গা হবে না : আহমেদ আযম খান Jul 04, 2025
img
দিয়োগো জোতার সম্মানে তার ২০ নাম্বার জার্সি তুলে রাখলো লিভারপুল Jul 04, 2025
img
‘আমায় পাকিস্তানি বললেও চলবে’, পুরনো মন্তব্যে ফের বিতর্কে কারিনা Jul 04, 2025
img
বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ স্থগিত হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিসিবি Jul 04, 2025
img
আমাদের বিচ্ছেদ পারসোনাল ইস্যু ছিলো না, ছিল ন্যাশনাল ইভেন্ট: মিথিলা Jul 04, 2025
img
ফিরছে ‘গাল্লি বয়’, তবে এবার নতুন মুখে ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে Jul 04, 2025
img
টিকটক তারকা ক্রিস্টোফারকে গুলি করে হত্যা Jul 04, 2025
img
গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ হারাল শতাধিক মানুষ Jul 04, 2025
কঙ্গনার ব্যক্তিগত ছবি চাইতেন হৃতিক, পাঠাতেন নিজের ছবিও Jul 04, 2025
img
সোনাক্ষী অভিযোগ: স্বামীর স্নেহেই খানিক মুটিয়ে গেছেন, লোকে বলছেন অন্তঃসত্ত্বা Jul 04, 2025
img
ইনসাফ ও মর্যাদার বাংলাদেশের জন্য লড়াই করছে এনসিপি : নাহিদ ইসলাম Jul 04, 2025
img
অক্ষুণ্ণ রইলো সাকিবের বিশ্বরেকর্ড Jul 04, 2025
img
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে একক কর্তৃত্ব থাকবে না : গোলাম পরওয়ার Jul 04, 2025