যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে খনিজ সম্পদ চুক্তি স্বাক্ষর

কয়েক মাস ধরে উত্তেজনা চলার পর অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন খনিজচুক্তিতে সই করেছে। ফলে ওয়াশিংটন কিয়েভের মূল্যবান দুর্লভ খনিজ সম্পদে প্রবেশাধিকার পাবে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে তার পুনর্গঠনে তহবিল জোগান দেবে। 

চুক্তি স্বাক্ষরের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, এই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রকে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধ-পরবর্তী পুনর্গঠনে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখতে অর্থনৈতিক প্রণোদনা দেবে, বিশেষ করে যখন তিনি রাশিয়ার সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তি সম্পাদন করবেন।

খনিজচুক্তিটি মাসের পর মাস ধরে কঠিন আলোচনার বিষয় ছিল এবং স্বাক্ষরের কয়েক ঘণ্টা আগেও তা ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। এই চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন পুনর্গঠন বিনিয়োগ তহবিল গঠন করা হবে। ট্রাম্প প্রশাসনের ভাষ্য মতে এই তহবিল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউক্রেনকে দেওয়া প্রায় ১৭৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, এই চুক্তি রাশিয়ার প্রতি একটি পরিষ্কার বার্তা যে ট্রাম্প প্রশাসন একটি স্বাধীন, সার্বভৌম এবং সমৃদ্ধ ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে একটি শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি আরো বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই অংশীদারিকে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ ও ইউক্রেনের জনগণের মধ্যে স্থায়ী শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি হিসেবে দেখছেন।

ইউক্রেনের প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া সভিরিডেনকো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এক পোস্টে চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি লিখেছেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে একটি তহবিল তৈরি করছি, যা দেশের জন্য বৈশ্বিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে। তবে এই চুক্তি এখনো ইউক্রেনের পার্লামেন্টে অনুমোদিত হয়নি।

ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল বলেন, এই তহবিলটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে ৫০ শতাংশ করে ভাগ করা হবে এবং উভয়পক্ষের সমান ভোটাধিকার থাকবে।

শ্যামিহাল এই চুক্তিকে প্রকৃতপক্ষে একটি ভালো, সমান ও লাভজনক আন্তর্জাতিক চুক্তি হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা ইউক্রেনের উন্নয়ন এবং পুনর্গঠনে যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে কার্যকর হবে।

তবে সমালোচকদের মতে, হোয়াইট হাউস ইউক্রেনকে প্রতারণা করার চেষ্টা করছে, যেন ভবিষ্যতে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের আয়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে পারে তারা।

আরএম/টিএ  

Share this news on:

সর্বশেষ

img
একসঙ্গে রুমে ছিলেন কমল হাসন-রেখা, আচমকা হাজির হয়ে অভিনেতাকে ধমক দিয়েছিলেন তার স্ত্রী! Jul 08, 2025
মায়ের জন্য যোগ্য সঙ্গী চাই বাঁধনের মেয়ে সায়রা Jul 08, 2025
মুরাদনগরে মবের মূল হোতা বাচ্চু মেম্বার,যা জানাল র‍্যাব Jul 08, 2025
img
চলচ্চিত্র অভিনেতা ডিপজলের বিরুদ্ধে মামলা Jul 08, 2025
img
মবই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শক্তি: শামীম হায়দার Jul 08, 2025
img
আর্জেন্টিনার রদ্রিগো ডি পলকে প্রস্তাব দিল মেসির মায়ামি Jul 08, 2025
img
কক্সবাজারে সমুদ্রে গোসলে নেমে প্রাণ গেল চবি শিক্ষার্থীর, নিখোঁজ ২ Jul 08, 2025
img
‘রিংকিকে ছাড়ুন, আমি তো আয়ুষ্মান খুরানার ঠোঁটে চুমু খেয়েছি’, সচিব জিতেন্দ্র কুমার Jul 08, 2025
img
‘উদ্ভট’ ফ্যাশন সেন্সের কারণে কটাক্ষের মুখে নেহা কক্কর Jul 08, 2025
ট্রাম্পের চিঠি ড. ইউনূসকে, বাংলাদেশি পণ্যে ৩৫% শুল্ক Jul 08, 2025
img
নীল সিনেমায় যোগ দিচ্ছেন আসামের জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সার অর্চিতা ফুকান! Jul 08, 2025
img
ফুটবল আমাকে কল্পনার চেয়েও বেশি কিছু দিয়েছে, বিদায় বেলায় রাকিটিচ Jul 08, 2025
img
জুলাই পদযাত্রায় আজ মেহেরপুরে যাচ্ছেন এনসিপির নেতৃবৃন্দ Jul 08, 2025
img
আজ থেকে ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির অনলাইন আবেদন শুরু Jul 08, 2025
img
৪১ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন আন্তর্জাতিক আম্পায়ার Jul 08, 2025
img
ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত, জানালেন ট্রাম্প Jul 08, 2025
img
পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টির বন্যায় ১৯ জনের প্রাণহানি Jul 08, 2025
img
উইন-উইন সমাধানে ওয়াশিংটনের সঙ্গে শুল্ক চুক্তি করতে আগ্রহী ঢাকা: প্রেস সচিব Jul 08, 2025
img
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জাতীয় পার্টি Jul 08, 2025
img
তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, এনজিও মালিককে বেঁধে রাখলেন গ্রাহকরা Jul 08, 2025