পহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় পর্যটকদের ওপর হামলাকারীর চার সন্ত্রাসী এখনও দক্ষিণ কাশ্মীরের জঙ্গলেই লুকিয়ে আছে বলে ধারণা করছে ভারতীয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। সেনা ও পুলিশ ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালালেও দুষ্কৃতীদের এখনও ধরা যায়নি।
তাদের দাবি, হামলাকারীরা সম্ভবত কয়েক দিনের খাবার ও অন্যান্য জিনিসপত্র মজুত রেখেছেন। ফলে নিরাপত্তা বাহিনীর নজর এড়িয়ে তারা এখনও লুকিয়ে থাকতে সক্ষম হচ্ছে। একইসঙ্গে, তারা যোগাযোগের জন্য এমন সরঞ্জাম ব্যবহার করছে, যাতে সিম কার্ড নেই। এর ফলে তাদের গতিবিধি বা কথোপকথন ট্র্যাক করা সম্ভব হচ্ছে না।
শুক্রবার (২ মে) আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
হামলার আগে সন্ত্রাসীরা অন্তত তিনটি স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করেছিল। পর্যটকদের ওপর হামলার আগে তারা চারটি এলাকায় পর্যবেক্ষণ চালায়। এই এলাকাগুলো হলো : বৈসরন, আরু উপত্যকা, বেতাব উপত্যকা এবং একটি স্থানীয় বিনোদন পার্ক। গোয়েন্দাদের ধারণা, তুলনামূলকভাবে কম নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন থাকার কারণে তারা শেষ পর্যন্ত বৈসরনকে তাদের হামলার স্থান হিসেবে বেছে নেন।
আটক হওয়া হামলাকারীর সহযোগীদের জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানতে পেরেছে এনআইএ। হামলার দুইদিন থেকেই তারা বৈসরন এলাকায় অবস্থান করছিলেন।
পহেলগাম হামলার তদন্তের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম বড় ধরনের তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে সংস্থাটি। এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন এনআইএ’র প্রধান সদানন্দ দাটে।
এদিকে, পহেলগাম কাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে করা একটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে আবেদনকারীদের তিরস্কার করেছে আদালত। বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, সামরিক অভিযানের আগে আপনারা বাহিনীর মনোবল ভাঙতে চান? আমরা কবে থেকে সন্ত্রাস মামলায় তদন্তে নজরদারির দক্ষতা অর্জন করলাম? জনস্বার্থ মামলা করার আগে দায়িত্বশীল হোন। দেশের প্রতিও আপনাদের দায়িত্ব আছে।
এফপি/টিএ