গাইবান্ধায় পত্রিকার হকার আনিছুর রহমান হত্যা মামলায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করেছেন, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই তারা আনিছুর রহমানকে হত্যা করেছিলেন।।
শুক্রবার (২ মে) দুপুরে রংপুরে র্যাব-১৩-এর সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন এসব তথ্য জানান।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন—গাইবান্ধা সদরের বানিয়াজান এলাকার কবির আলম (২৭), থানশিনপুর এলাকার রাসেল মিয়া (২৮), সাদুল্লাপুর উপজেলার পাটানোছা এলাকার শহিদুল ইসলাম (৪০) ও ক্ষুদ্র রসুলপুর এলাকার রাশেদ মণ্ডল (৪২)।
রাশেদের গ্যারেজ থেকে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই, দস্যুতা, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান র্যাব-১৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, গাইবান্ধা সদরের কিসামত গ্রামের বাসিন্দা আনিছুর রহমান পত্রিকা বিক্রির পাশাপাশি অটোরিকশা চালাতেন। ২৪ এপ্রিল তিনি অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেননি।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা তার অটোরিকশাটি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরেন। এরপর সেটি ছিনিয়ে নেওয়ার সময় বাধা দিলে আনিছুরকে ছুরিকাঘাত করেন। ২৫ এপ্রিল ভোর সাড়ে ৪টার দিকে স্থানীয় লোকজন তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ওই দিন আনিছুর রহমানের স্ত্রী বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।
র্যাব কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৩ সিপিসি-৩ গাইবান্ধার একটি দলের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত গাইবান্ধা সদরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে হত্যার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ মামলার অন্যতম আসামি আরিফ মিয়াকেও গত ২৭ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরএ/টিএ