সুন্দরবনে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ আটক ২

সুন্দরবনে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ দুর্ধর্ষ বনদস্যু করিম শরীফ বাহিনীর ২ সদস্যকে আটক করেছে কোস্টগার্ড।

সোমবার (৫ মে) মো. সাদ্দাম খান (২০) ও আব্বাস মোল্লা (৪০) নামে দুজনকে আটক করা হয়।

কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন সদর দপ্তরের (মোংলা) কর্মকর্তা কমান্ডার সঞ্জীব কুমার দে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার বিকেল ৫টায় কোস্টগার্ড সদস্যরা সুন্দরবনের শিবসা নদী সংলগ্ন আদাছগী এলাকায় বনদস্য করিম শরীফ বাহিনীর আস্তানায় অভিযান চালায়।

ওই সময় অভিযানকারীরা ঘটনাস্থল থেকে ২টি একনলা বন্দুক, ১টি শর্টগান, ১টি খেলনা বন্দুক, অস্ত্র তৈরীর সরঞ্জামাদি, ২৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ২০৪ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজ, ৯টি দেশীয় অস্ত্র, ৪টি কুড়াল, ৭টি করাত, ১০টি রড, ৫টি হাতুড়ি, ১টি সোলার, ২৮টি মোবাইল, ১১টি ওয়াকিটকি চার্জার ও ২টি কাঠের নৌকা জব্দ করে।

আর হাতেনাতে আটক করা হয় সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ বনদস্যু করিম শরীফ বাহিনীর অন্যতম দুই সদস্য মো. সাদ্দাম খান (২০) ও আব্বাস মোল্লাকে (৪০)। আটক দস্যুদের বাড়ি বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে বনদস্যু করিম শরীফের সঙ্গে ডাকাতি ও ডাকাত দলকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও রসদ সরবরাহ করে সহযোগিতা করে আসছিল।

কোস্টগার্ড কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার দে বলেন, কোস্টগার্ডের সাড়াঁশি অভিযানের ফলে সুন্দরবন অঞ্চল ধীরে ধীরে দস্যুমুক্ত হয়ে উঠছে।

এই অভিযানের মাধ্যমে উপকূলীয় এলাকার জেলে ও মাছ শিকারীরা এখন নির্বিঘ্নে এবং নিরাপদে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারছেন।

এছাড়া কোস্টগার্ড আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে উপকূলীয় ও নদী তীরবর্তী অঞ্চলে ২৪ ঘণ্টাব্যাপী টহল কার্যক্রম এবং বিশেষ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। যার ফলে এসব অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকাংশে উন্নত হয়েছে।

সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে কোস্টগার্ডের এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

এসএম/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ইইউতে পোশাক রপ্তানি কমলেও মার্কিন বাজারে বেড়েছে Dec 15, 2025
img
নয়াদিল্লিতে লিওনেল মেসি, কলকাতার মতো বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিশেষ ব্যবস্থা Dec 15, 2025
img
বরিশালে বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ Dec 15, 2025
img
হাদির ওপর হামলাকারী ফয়সাল ভারতে পালিয়ে সেলফি পাঠিয়েছেন: সায়ের Dec 15, 2025
img
ওসমান হাদিকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে মেডিকেল বোর্ডের জরুরি বৈঠক Dec 15, 2025
img
নিকুঞ্জে মাদকের ভয়াবহ দাপট : ধ্বংসের পথে তরুণ প্রজন্ম Dec 15, 2025
img
আল্লু অর্জুনের পুষ্পা টু’র রেকর্ড ভাঙল রণবীরের ‘ধুরন্ধর’ Dec 15, 2025
img
ভোট দেওয়ার জন্য প্রবাসী নিবন্ধন ছাড়ল ৪ লাখ Dec 15, 2025
img
নির্বাচনের কারণে এগিয়ে এলো কওমি মাদ্রাসার কেন্দ্রীয় পরীক্ষা Dec 15, 2025
img
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কিংবদন্তি পেসার লাসিথ মালিঙ্গাকে ছাড়িয়ে গেলেন আর্শদীপ Dec 15, 2025
img
লাতিন আমেরিকায় মার্কিন বাহিনীর নেতৃত্বে থাকা অ্যাডমিরালের পদত্যাগ Dec 15, 2025
img
১০ বিলিয়ন ইউরো দিয়ে বার্সেলোনাকে কিনতে চান সৌদি যুবরাজ! Dec 15, 2025
img
সাবেক বিচারপতির মৃত্যু, আজ অর্ধবেলা বন্ধ থাকবে সুপ্রিম কোর্টে বিচারকাজ Dec 15, 2025
img
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নতুন ইতিহাস গড়লেন হার্দিক পান্ডিয়া Dec 15, 2025
img
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি নেতা জিমি লাই দোষী সাব্যস্ত Dec 15, 2025
img
নিউইয়র্কের মেয়র জোহরান মামদানিকে গিটার বাজিয়ে শোনালেন জন কবির Dec 15, 2025
img
বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষ ৮ নম্বরে রাজধানী ঢাকা Dec 15, 2025
img
মাত্র ১ ঘণ্টার বৃষ্টিতে ডুবল মরক্কো, প্রাণ গেল অন্তত ২১ জনের Dec 15, 2025
img
ভারতের নাগাল্যান্ডে দাবানল, ৭২ ঘণ্টা ধরে জ্বলছে জুকো উপত্যকা Dec 15, 2025
img
নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে বিভাগীয় কমিশনার-জেলা প্রশাসকদের ইসির চিঠি Dec 15, 2025