ভারত শাসিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় একটি বিমান অথবা বড় ড্রোন ভেঙ্গে পড়েছে। পাম্পোর শহরের কাছে বুধবার ভোর রাতে সেটি ভেঙ্গে পড়ে। সেনাবাহিনীর নির্দেশনায় সতর্কতার সঙ্গে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।
ওই অঞ্চলে পৌঁছিয়েছেন বিবিসির সংবাদদাতা রিয়াজ মাসরুর। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানান, “জেট বিমানের বিকট শব্দের মধ্যেই একটা বিস্ফোরণ শুনতে পান এখানকার বাসিন্দারা। তারা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসে দেখেন যে কিছু একটা জ্বলছে। যেটি ভেঙ্গে পড়েছে তা বিমান না কোনও ড্রোন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সরকারিভাবে এখনও কিছুই জানানো হয়নি।”
যে জায়গায় ওই বিমান অথবা ড্রোনটি ভেঙ্গে পড়েছে, তার কাছাকাছি কাউকে যেতে দিচ্ছে না সেনাবাহিনী। ধ্বংসাবশেষ বুলডোজারে করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এদিকে, মিগ-২৯সহ ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছেন পাকিস্তান প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। এছাড়া কয়েকজন ভারতীয় সেনাকে যুদ্ধবন্দি হিসেবে আটকের দাবিও করেছেন তিনি।
তবে পাকিস্তানের এই দাবির ব্যাপারে ভারত কোনও মন্তব্য করেনি। অভিযানে ভারতের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, সে সম্পর্কে কিছু বলেনি।
বুধবার সকালে দিল্লিতে পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে। এই সংবাদ সম্মেলন করেন পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি এবং সেনাবাহিনীর তরফে দুজন প্রতিনিধি।
তারা বলেন, ‘কোল্যাটারাল ড্যামেজ’ বা পারিপার্শ্বিক ক্ষয়ক্ষতি যতটা কম রেখে শুধুমাত্র 'সন্ত্রাসবাদী' ঘাঁটি ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ শিবিরেই এই হামলা চালানো হয়েছে। যেটাকে তারা ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ বলে বর্ণনা করেন।
এদিকে, ভারত 'অপারেশন সিন্দুর' চালানোর পর পাকিস্তানও ভারত-শাসিত কাশ্মীরে পাল্টা হামলা চালিয়েছে এবং এই হামলায় সেখানে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারত। ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পঞ্চ জেলার একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, এই হামলায় পঞ্চ জেলায় সাতজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহতের সংখ্যা প্রায় ৩২ জন।
টিকে/টিএ