চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্নাকে ফের থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
রোববার (১১ মে) দুপুরে বাকলিয়া থানা পুলিশ তাকে ছেড়ে দিলেও বায়েজিদ থানার এক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
বর্তমান শারমিন আক্তার তামান্না বায়েজিদ থানা হেফাজতে রয়েছেন। এর আগে শনিবার রাত ১০টার দিকে নগরের চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাট বারৈয়পাড়ার একটি বাসা থেকে তামান্নাকে গ্রেফতার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, গ্রেফতারের পর তামান্নার আইনজীবী আসামি জামিনে থাকার কাগজপত্র দেখালে যাচাই-বাছাই শেষে পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে তার বিরুদ্ধে একটি আটকাদেশ থাকায় তাকে ভিন্ন একটি থানা (বায়েজিদ) পুলিশ পরে হেফাজতে নেয়।
সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদকে গত ১৫ মার্চ ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পরে তার স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্না ‘কাড়ি কাড়ি টাকা দিয়ে আদালত ও জামিন’ কিনে নেওয়ার কথা বলে দেশের আইন ও নিরাপত্তা সংস্থাকে অপমান করেন। তার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে তামান্নাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা কাঁড়ি কাঁড়ি, বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে আমার জামাইকে নিয়ে আসব। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।’
সন্ত্রাসী সাজ্জাদ গ্রেফতারের পর চট্টগ্রামে একটি জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। ৩০ মার্চ নগরের বাকলিয়া অ্যাকসেস রোডে একটি প্রাইভেট কারে গুলি চালিয়ে দুই ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। পুলিশ ধারণা করছে, সন্ত্রাসী সাজ্জাদ ও সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেনের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। সাজ্জাদকে ধরিয়ে দেওয়ার জেরে তার অনুসারীরা সরোয়ারের সহযোগীদের ওপর হামলা চালান বলে প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় গত ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানায় নিহত বখতিয়ার হোসেন মানিকের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় চট্টগ্রামের কারাবন্দি সন্ত্রাসী সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্নাকে হুকুমের আসামি করা হয়।
এসএম