ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এর যৌথ অভিযানে প্রধান সড়ক থেকে প্রায় ৩০টি ব্যাটারিচালিত রিকশা জব্দ করা হয়েছে। এ সময় তিনটি রিকশা ভাঙচুরও করা হয়।
মঙ্গলবার (১৩ মে ) রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় ডিএমপি ও ডিএনসিসি যৌথভাবে ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে রিকশা ভেঙে দেওয়া এবং রিকশাচালকদের কান্নার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর এটি নিয়ে অনেকেই সমালোচনা শুরু করেন।
এরই প্রেক্ষিতে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, আজকে যে তিনজনের রিকশা ভাঙা হয়েছে তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত ১১টা ১১ মিনিটে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্ট করে বিষয়টি জানিয়েছেন।
সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আজকে যে তিনজনের রিকশা ভাঙা হয়েছে তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। মেইন রোডে না আসার জন্য তিনটি রিকশা ভাঙা হয়েছিল। আমরা পরিবারগুলোকে আয়ের বিকল্প ব্যবস্থা করার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছি।’
এরর আগে রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় ডিএমপি ও ডিএনসিসি যৌথভাবে ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশার বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নিয়ে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ডেসকোর সহায়তায় এসব রিকশার চার্জিং পয়েন্ট ও উৎপাদনের ওয়ার্কশপগুলো বন্ধ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকার মূলসড়কে কোনো রিকশা চলাচল করতে পারবে না। রিকশা চলাচল করবে অভ্যন্তরের সড়কে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ২০ শতাংশ দুর্ঘটনা এই ব্যাটারিচালিত রিকশার কারণে হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শহরের নারী ও শিশুরা। এগুলো কোনো নীতিমালা বা যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়নি। প্রায়ই দেখা যায় পথচারীদের ওপর উঠে যাচ্ছে, অনিয়ন্ত্রিত গতির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ও সড়কে গণপরিবহন চলাচলে শৃঙ্খলা ফিরতে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। বুয়েটের সহায়তায় ইতোমধ্যে ব্যাটারিচালিত নিরাপদ রিকশার নকশা প্রস্তুত করে কয়েকটি কোম্পানিকে প্রস্তুতের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানান ডিএনসিসি প্রশাসক।
তিনি আরও বলেন, এই মাসের মধ্যে ডিএনসিসি রিকশাচালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। প্রশিক্ষণ শেষে উত্তীর্ণরাই বৈধ লাইসেন্স পাবে এবং অনুমোদিত কোম্পানির তৈরি রিকশা শহরের নির্দিষ্ট এলাকায় চালাতে পারবে। এক এলাকার বৈধ রিকশাও অন্য এলাকায় যেতে পারবে না। যাত্রী ভোগান্তি কমাতে ভাড়াও নির্ধারিত থাকবে।
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য একটা রিকশা লাইসেন্স দেওয়া হবে। চলমান রিকশা নিয়ে যে বাণিজ্য রয়েছে তা বন্ধ করা হবে।
আরএ