আশুলিয়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

সাভারের আশুলিয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
 
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে আশুলিয়া থানায় মামলা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিনুর কবির।

এর আগে বুধবার (১৪ মে) রাত ১০টার দিকে আশুলিয়ার শিমুলিয়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত আটজন নেতাকর্মী আহত হন।
 
আহতরা হলেন- এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় সংগঠক রিফাত আহমেদ ইমন (২৭), বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাভার উপজেলা শাখার যুগ্ম সদস্যসচিব তাওহিদুল ইসলাম সানভি (২৩), মুখ্য সংগঠক হৃদয় হাসান (২৪), যুগ্ম আহ্বায়ক ওবায়দুল ইসলাম (২৫), মুখপাত্র আল মাসুম সজিব (২৬), সদস্য ফাহাদুল ইসলাম ফাহাদ (২৯), সিটি ইউনিভার্সিটির আহ্বায়ক সৈয়দ ইমন (২৪) ও সদস্যসচিব তাওহিদ আহমেদ শান্ত (২৪)।

আহতরা জানান, বুধবার রাতে আশুলিয়ার শিমুলিয়া এলাকায় তারা ঘুরতে গিয়ে একটি সেতুর ওপর বসে ছিলেন। এ সময় তারা পাশে থেকে আসা তীব্র দুর্গন্ধ অনুভব করেন। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন, কাছেই অবৈধ একটি কারখানায় ব্যাটারি গলিয়ে সীসা তৈরি করা হয়। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে কারখানাটির ভিডিও ধারণ করেন এবং বিষয়টি পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন। পরে তারা চলে আসার সময় এক ব্যক্তি তাদের ফোন করে আসতে বলে।

সেসময় তারা ফিরে আসলে একটি হায়েস মাইক্রোবাসে করে আসা একদল অস্ত্রধারী তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় ওই সীসা কারখানা লোকজন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসাদুল ইসলাম মুকুলকে ফোন দেন। কিন্তু তিনি বলেন, তাদের লোকজন ওই খানে যায়নি এবং ফোন রেখে দেন।
 
এবিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসাদুল ইসলাম মুকুল  বলেন, মূলত আমাদের কোনো নেতাকর্মী সেখানে যায়নি এবং এতো রাতে কারোর যাওয়ার কথা না। সেকারণে আমি ওই কথা বলেছিলাম।

এ ঘটনায় ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির  বলেন, বিকেলে ভুক্তভোগীর একটি অভিযোগ দিয়েছে। এরপরেই ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ১০০/১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ে করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এমআর


Share this news on: