দুর্নীতির দায়ে মৌরিতানিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্টকে ১৫ বছর কারাবাসের সাজা

দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মৌরিতানিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহামেদ ঔলদ আবদেল আজিজকে ১৫ বছর কারাবাসের সাজা দিয়েছেন দেশটির উচ্চ আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোষণা করা হয়েছে।

মৌরিতানিয়ার সাবেক সেনাপ্রধান মোহামেদ ঔলদ আবদেল আজিজ ২০০৮ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন। পরের বছর তিনি নির্বাচন দেন এবং সেই নির্বাচনে জয়ী হয়ে মৌরিতানিয়ার প্রেসিডেন্ট হন। ২০১৯ সালে তিনি আর নির্বাচনে প্রার্থিতা থেকে বিরত থাকেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোহামেদ ঔলদ ঘাজৌয়ানির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং পশ্চিমা বিশ্বের মিত্র হিসেবে পরিচিত মোহামেদ ঔলদ আবদেল আজিজের বিরুদ্ধে প্রথম দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে ২০২১ সালে। ২০২৩ সালে এ সংক্রান্ত এক মামলায় আবদেল আজিজকে ৫ বছর কারাবাসের সাজা দেন মৌরিতানিয়ার নিম্ন আদালত।

নিম্ন আদালতের রায় ঘোষণার পর তা বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন আবদেল আজিজের আইনজীবী টিম। অন্যদিকে ‘নিম্ন আদালতের রায় নমনীয় হয়েছে’— এই যুক্তিতে উচ্চ আদালতে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষও। প্রায় দু’বছর শুনানির পর গতকাল বৃহস্পতিবার মোহামেদ ঔলদ আবদেল আজিজকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেন উচ্চ আদালত।

আদালতের রায়ের পর তার প্রতিক্রিয়ায় ঔলদ আবদেল আজিজের আইনজীবী মোহামেদেন ইচিদৌ রয়টার্সকে বলেন, “আমরা সন্তুষ্ট নই। আদালত সরকারের চাপে এই রায় ঘোষণা করেছেন।”

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ব্রাহিম এবেতি আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে রয়টার্সকে বলেন, “রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে যত সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করেছে, সেগুলোর প্রতিটিই বলছে যে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে মোহামেদ ঔলদ আবদেল আজিজ একজন স্বেচ্ছাচারী, দুর্নীতিগ্রস্ত, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ও মুদ্রাপাচারকারী ছিলেন। আমরা আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট।”


এসএস/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু Jul 01, 2025
img
স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা Jul 01, 2025
img
আগামী ৫ দিন টানা বৃষ্টির আভাস Jul 01, 2025
img
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করল পাকিস্তান Jul 01, 2025
img
সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় মব হয়েছে : মোশাররফ আহমেদ Jul 01, 2025
img
বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৩ হাজার, হাসপাতালে ২১৭ জন ভর্তি Jul 01, 2025
img
শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে মুক্তির স্বাদ দিয়েছে, জুলাই ক্যালেন্ডার উদ্বোধনে প্রধান উপদেষ্টা Jul 01, 2025
বিসিবি ছাড়ছেন সামি, জানালেন কারণ Jul 01, 2025
img
আসিফ মাহমুদের বিচার করা উচিত : নিলুফার মনি Jul 01, 2025
img
দেশের ৪ সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত Jul 01, 2025
img
ঢাকায় এবার বাংলাদেশ-নেপাল দ্বিপক্ষীয় এফওসি বৈঠক Jul 01, 2025
img
জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ আমরা আদায় করে ছাড়ব: নাহিদ ইসলাম Jul 01, 2025
img
আসন্ন বিপিএল শুরু হচ্ছে কবে, জানাল বিসিবি Jul 01, 2025
img
আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ Jul 01, 2025
img
১ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষের ২০৩০ সালের মধ্যে অকাল মৃত্যু ঘটতে পারে Jul 01, 2025
img
ঐক্যের কোনো লক্ষণ নেই, বিভাজন আরো বাড়ছে : জিল্লুর রহমান Jul 01, 2025
img
জুলাই অভ‍্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা Jul 01, 2025
তাহাজ্জুদ পড়লে কি জ্বিনে ধরে? | ইসলামিক জ্ঞান Jul 01, 2025
img
ম্যানসিটিকে হারিয়ে শেষ আটে নেইমারের সাবেক ক্লাব আল হিলাল Jul 01, 2025
img
শত্রু রাষ্ট্রকে সহযোগিতায় মৃত্যুদণ্ডের আইন পাস করল ইরান Jul 01, 2025