আ.লীগ আগের মতোই শান্তিতে বসবাস করছে, যা আসিফ নজরুল সাহেবের ব্যর্থতা: হাসনাত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ৫ আগস্টের আগে যেমন শান্তিতে বসবাস করেছে, এখনো তারা শান্তিতেই বসবাস করছে। এটা আমাদের ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতা আসিফ নজরুল সাহেবের ব্যর্থতা। আমরা উনার কাছে জানতে চাই। কথা ছিল জানুয়ারি মাসে ট্রাইব্যুনাল গঠন করার। এখন মে মাস। আমরা স্পষ্ট করে জানতে চাই, কেন মে মাসের ১৬ তারিখেও দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়নি?

শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমির হল রুমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত জুলাই সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, যারা এই গণহত্যায় জড়িত রয়েছে, কোনো কোনো বিচারক তাদেরকে জামিন দিয়ে দেন। তারা কারা, এসবের পেছনে কাদের ইন্ধন রয়েছে সেটি আপনারা আমাদের সামনে প্রকাশ করুন। আপনি বারবার বলেন আপনাকে ভিলেন বানানো হচ্ছে। আপনি বারবার বলেন আপনাকে ভুল বোঝা হচ্ছে। তাহলে যে সত্য ঘটনা, আপনাকে যদি কেউ কাজ করতে না দেয়, আপনাকে যদি কেউ কাজ করতে বাধা দেয় বা প্রেশারে রাখে, সেটা আপনি জাতির সামনে উপস্থাপন করুন।

তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আওয়ামী লীগের বিচার, খুনিদের বিচার ছাড়া সংস্কার করবেন, তাহলে আপনারা ভুল পথে আছেন। এই সরকারের উপদেষ্টাদের প্রধান সংস্কার হচ্ছে খুনিদের বিচার করা।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, একটা স্লোগান শোনা যায়- নির্বাচন না সংস্কার। এটা খুবই আপত্তিকর স্লোগান। স্লোগানটির মাধ্যমে বলা হচ্ছে- হয় আমরা নির্বাচন চাই, নতুবা সংস্কার। মূলত আমরা দুইটাই চাই। তবে আমরা চাই বিচার হবে, সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নির্বাচনটা হবে।

তিনি বলেন, আমরা ভারত, পাকিস্তান, কিংবা বিদেশি কোনো শক্তির দাস হতে চাই না। মানবিক করিডর নিয়ে যে সকল প্রশ্ন উঠেছে সেগুলো নিয়ে স্পষ্ট জবাব দিন।

সমাবেশে উপস্থিত অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের যে ঐক্য তৈরি হয়েছে, এই ঐক্য নষ্ট হলে পতিত শক্তির সুবিধা হবে। তাই জাতীয় স্বার্থের পাশাপাশি কুমিল্লার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, অবকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানাই।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টির অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

আরএম 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু Jul 01, 2025
img
স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা Jul 01, 2025
img
আগামী ৫ দিন টানা বৃষ্টির আভাস Jul 01, 2025
img
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করল পাকিস্তান Jul 01, 2025
img
সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় মব হয়েছে : মোশাররফ আহমেদ Jul 01, 2025
img
বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৩ হাজার, হাসপাতালে ২১৭ জন ভর্তি Jul 01, 2025
img
শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে মুক্তির স্বাদ দিয়েছে, জুলাই ক্যালেন্ডার উদ্বোধনে প্রধান উপদেষ্টা Jul 01, 2025
বিসিবি ছাড়ছেন সামি, জানালেন কারণ Jul 01, 2025
img
আসিফ মাহমুদের বিচার করা উচিত : নিলুফার মনি Jul 01, 2025
img
দেশের ৪ সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত Jul 01, 2025
img
ঢাকায় এবার বাংলাদেশ-নেপাল দ্বিপক্ষীয় এফওসি বৈঠক Jul 01, 2025
img
জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ আমরা আদায় করে ছাড়ব: নাহিদ ইসলাম Jul 01, 2025
img
আসন্ন বিপিএল শুরু হচ্ছে কবে, জানাল বিসিবি Jul 01, 2025
img
আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ Jul 01, 2025
img
১ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষের ২০৩০ সালের মধ্যে অকাল মৃত্যু ঘটতে পারে Jul 01, 2025
img
ঐক্যের কোনো লক্ষণ নেই, বিভাজন আরো বাড়ছে : জিল্লুর রহমান Jul 01, 2025
img
জুলাই অভ‍্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা Jul 01, 2025
তাহাজ্জুদ পড়লে কি জ্বিনে ধরে? | ইসলামিক জ্ঞান Jul 01, 2025
img
ম্যানসিটিকে হারিয়ে শেষ আটে নেইমারের সাবেক ক্লাব আল হিলাল Jul 01, 2025
img
শত্রু রাষ্ট্রকে সহযোগিতায় মৃত্যুদণ্ডের আইন পাস করল ইরান Jul 01, 2025