যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য স্লোভেনিয়ার সেভনিক থেকে হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেছে। এর আগে, মেলানিয়ার প্রথম ভাস্কর্যটি আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর একই জায়গায় ব্রোঞ্জের একটি নতুন ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছিল, সেটিও এখন চুরি হয়ে গেছে।
২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে স্লোভেনিয়ার মধ্যাঞ্চলের সেভনিকের কাছে এই ভাস্কর্য উন্মোচন করা হয়েছিল। সেভনিকই মেলানিয়া ট্রাম্পের জন্মস্থান।
স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র অ্যালেনকা ড্রেনিক রাঙ্গুস জানিয়েছেন, ১৩ মে ভাস্কর্যটি চুরি হওয়ার খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং তদন্ত চলছে।
ভাস্কর্যটির নির্মাতা মার্কিন শিল্পী ব্র্যাড ডাউনি জানান, ভাস্কর্যটি পায়ের গোড়ালির নিচ থেকে কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি তখন জার্মানিতে একটি নতুন শিল্প প্রকল্প নিয়ে কাজ করছিলেন এবং সেখানেই এই খবর পেয়েছেন। ডাউনি বলেন, ‘আমার ধারণা, এটি হয়তো ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচন প্রচারণার সঙ্গে সম্পর্কিত, তবে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’
মেলানিয়ার প্রথম ভাস্কর্যটি কাঠের তৈরি ছিল, যেখানে তাকে নীল পোশাক ও হিল পরে দেখানো হয়েছিল। সেটি স্থানীয় শিল্পী আলেস জুপেভক তৈরি করেছিলেন। ২০১৯ সালে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা আগুন দিয়ে সেই কাঠের ভাস্কর্য পুড়িয়ে দেয়। এরপর ২০২০ সালে ব্র্যাড ডাউনি নিজ উদ্যোগে তার স্থলে ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য স্থাপন করেন। ব্রোঞ্জ ভাস্কর্যের ভারসাম্য রক্ষার জন্য ভিত্তিতে কংক্রিট ও ধাতব রড ব্যবহার করা হয়েছিল।
এবারও সেই ব্রোঞ্জ ভাস্কর্যটিকে গোড়ালি থেকে কেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারী কারা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সেভনিকায় কাজ করা এক বেকারির কর্মী ফ্রাঞ্জা ক্রাঞ্জক বলেন, ‘এই ভাস্কর্যটি ফিরিয়ে আনা ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, কারণ আমার মনে হয় মেলানিয়া কিংবা স্থানীয় কেউ এ ভাস্কর্য নিয়ে গর্বিত ছিলেন না। তাই সরিয়ে ফেলা ঠিক হয়েছে।’
মেলানিয়া ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি হিসেবে হোয়াইট হাউসে আসার পর সেভনিকায় তার প্রত্যাবর্তনের প্রত্যাশা ছিল। তবে তিনি কখনো সেখানে যাননি। সেভনিকায় মেলানিয়ার নামে কেক, চকলেট ও অন্যান্য স্যুভেনির তৈরি হয়। স্লোভেনিয়ার রাজধানী লুবলিয়ানার প্রায় ৬০ মাইল পূর্বে অবস্থিত এই শহর এখনো তার নামে পরিচিত।
এসএস/এসএন