যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালালো রাশিয়া। রোববার কিয়েভে একসঙ্গে অন্তত ২৭৩ ড্রোন হামলা চালিয়েছে মস্কো।
ইউক্রেনের দাবি-এসব ড্রোনের মধ্যে ৮৮টিকে ভূপাতিত করা হয়েছে। হামলার ঘটনার পরপরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি ইউক্রেন সংকটের জড় সমূলে উৎপাটন করতে চান। খবর রয়টার্সের।
বিমানবাহিনী বলেছে, ‘শত্রুরা ২৭৩টি শাহেদ অ্যাটাক ড্রোন এবং বিভিন্ন ধরনের অনুকরণকারী ড্রোন দিয়ে আক্রমণ করেছিল।’
তারা জানায়, ৮৮টি ধ্বংস করা হয়েছে এবং আরও ১২৮টি ‘কোনো নেতিবাচক পরিণতি সৃষ্টি করা ছাড়াই’ লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে।
পুতিন বলছেন, তিনি ইউক্রেন সংঘাতের মূল কারণগুলো দূর করতে চান এবং রাশিয়াকে নিরাপদ রাখতে চান।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে পুতিন বলেন, মস্কোর লক্ষ্য হলো ‘এই সংকট সৃষ্টিকারী কারণগুলো দূর করা, একটি দীর্ঘস্থায়ী শান্তির জন্য পরিস্থিতি তৈরি করা এবং রাশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’
তিনি এমন এক সময় এই মন্তব্য করলেন যার মাত্র দুদিন আগে ২০২২ সালের পর ইউক্রেনের সঙ্গে প্রথম সরাসরি শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অবশ্য এই আলোচনায় কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়নি।
অপরদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও বলেছেন, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার উদ্যোগ নেবেন। এ লক্ষ্যে সোমবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফোনকল করবেন তিনি। প্রথমে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন। এরপর ইউক্রেনের নেতা ও ন্যাটোর মিত্রদের সঙ্গেও কথা বলার পরিকল্পনা রয়েছে তার।
এর আগে শনিবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, রাশিয়া এই বৈঠক সম্ভব বলে মনে করে। তবে তা ‘কাজের ফলাফল এবং উভয় পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তির মাধ্যমে কিছু নির্দিষ্ট ফলাফল অর্জনের পরেই’ সম্ভব। কিসের প্রয়োজন হবে সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত জানাননি।
পেসকভ আরও বলেন, পরবর্তী আলোচনার তারিখ ঠিক করার আগে উভয় পক্ষকে অবশ্যই বন্দিবিনিময় সম্পন্ন করতে হবে। ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দাপ্রধান কিরিল বুদানভ ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই বিনিময় আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকেই হতে পারে।
আরআর/এসএন