সরকার গঠনে এগিয়ে পর্তুগালের ডানপন্থি জোট

পর্তুগালে রোববার (১৮ মে) জাতীয় সংসদের আগাম নির্বাচনে আবারও বিজয় অর্জন করেছে ডানপন্থি জোট ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এডি)। পর্তুগালের বাইরে বসবাসকারী নাগরিকদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত চারটি আসনের ফলাফল ঘোষণা বাকি থাকলেও জোটটি সর্বোচ্চ ৮৯টি আসনে জয়লাভ করে তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে জয় নিশ্চিত করেছে।

জাতীয় সংসদের ২৩০টি আসনের মধ্যে ঘোষিত ২২৬টি আসনে সোশ্যালিস্ট পার্টি (পিএস) ৫৮টি, শেগা ৫৮টি, ইনেশিয়েটিভ লিবারেল (ইএল) ৯টি, লিব্রে ৬টি, সিডিউ ৩টি, লেফট ব্লক ১টি, প্যান ১টি এবং প্রথমবারের মতো জেপিপি ১টি আসনে জয়লাভ করেছে। অপরদিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুটি দলের আসন সংখ্যা সমান হওয়ার কারণে অবশিষ্ট চারটি আসনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে কোনো দল সংসদের বিরোধী দলে থাকবে।

নির্বাচনের ডানপন্থিদের উত্থান এবং বামপন্থিদের ভরাডুবি লক্ষ্য করা গেছে। সবগুলো বাম দল ডানপন্থিদের অর্ধেকের সমান ভোটও পায়নি। তাছাড়া পর্তুগালের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং বড় দল সোশ্যালিস্ট পার্টি ইতিহাসে তৃতীয় খারাপ ফলাফলের সম্মুখীন হয়েছে। বিগত নির্বাচন থেকে পেদ্রো নুনু সন্তোষের নেতৃত্বে থাকা দলটি ২০ আসন হারায়। ফলে তিনি নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন।

পুরো ইউরোপে ডানপন্থি দলগুলো সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করছে। পর্তুগালও এই তালিকায় যুক্ত হলো। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইতোপূর্বের বামপন্থি সরকারের অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসন নীতি, আবাসন, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার মতো মৌলিক অধিকার পূরণে ব্যর্থতার ফলে নাগরিকরা বাম দল বিশেষ করে সোশ্যালিস্ট পার্টির ওপর আস্থা হারিয়েছেন।

তাছাড়া কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন না পাওয়ায় দেশটিতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার বিষয়টি এখনো শঙ্কার মধ্যেই রয়ে গেল। যদিও রাষ্ট্রপতি বলেছেন, যদি কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায় তবে তিনি নির্বাচনের পরে সবগুলো দলের সঙ্গে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা করার চেষ্টা করবেন।

উল্লেখ্য, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টেনেগ্রো পারিবারিক ব্যবসার মাধ্যমে সুবিধা লাভের অভিযোগে সরকারের ঘোষিত আস্থা ভোটে গত মার্চে তার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটে। পরে রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিয়ে দ্রুততম সময়ে নতুন নির্বাচন আহ্বান করেন।

আরএম/এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ Sep 14, 2025
img
মেক্সিকোর ইউকাতানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৫ Sep 14, 2025
img

জুলাই অভ্যুত্থান

আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানো মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Sep 14, 2025
img
আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফ ভবন-২ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা Sep 14, 2025
img
ডাকসু নেতাদের মধ্য থেকে ৫ সিনেট সদস্য নির্বাচিত Sep 14, 2025
img
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে দুবাই পুলিশের কড়া সতর্কবার্তা Sep 14, 2025
img
মেসির পেনাল্টি মিস, শার্লটের কাছে বড় হার মিয়ামির Sep 14, 2025
img
হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে হামবুর্গকে উড়িয়ে দিল বায়ার্ন Sep 14, 2025
img
এখনো আমরা ডোর টু ডোর শিক্ষার্থীদের কাছে যাব: সাদিক কায়েম Sep 14, 2025
img
বিএনপি নির্বাচিত হলে দুই মাসে গ্যাস সুবিধা পাবে নাটোরবাসী: দুলু Sep 14, 2025
img
ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে শাকিব খানের শোকবার্তা Sep 14, 2025
img
ঢাকাসহ ৬ বিভাগে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা Sep 14, 2025
img
নেপালে অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হবে জনতার ভোটে, ঘোষণা আজ Sep 14, 2025
img
রণবীর-দীপিকার বিচ্ছেদ নিয়ে নীতু কাপুরের মন্তব্য Sep 14, 2025
img
ভেঙে দেয়া পার্লামেন্ট পুনর্বহাল চায় নেপালের শীর্ষস্থানীয় আট দল Sep 14, 2025
img
জিম্মি চুক্তির পথে প্রধান বাধা নেতানিয়াহু Sep 14, 2025
img
লালনগানের রানী ফরিদা পারভীন: এক অনন্ত সুরের যাত্রী Sep 14, 2025
img
আজ থেকে চাকসুর মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু Sep 14, 2025
img
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক আজ Sep 14, 2025
img

ভাঙ্গায় মহাসড়ক অবরোধ

ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ Sep 14, 2025