সেভেন সিস্টার্সে পন্য পাঠাতে খরচ বাড়ছে ৫ গুণ, বাজার হারানোর শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা

বাংলাদেশ থেকে সাত ধরনের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ভারতের। স্থলবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য ও প্লাস্টিকের মত পন্য আমদানিতে এসেছে ভারতের নিষেধাজ্ঞা। এমন অবস্থায় বিপাকে দেশের রপ্তানিকারকরা। ভিন্ন পন্থায় রপ্তানি করতে খরচ বাড়বে প্রায় ৫ গুন। এভাবে পাঁচগুণ বেশি খরচ করে রপ্তানি আদৌ সম্ভব হবে কি না তা নিয়েও দেখা দিয়েছে শঙ্কা। 

ভারতের এমন ঘোষণার পরপরই সীমান্তে আটকে গেছে বহু পণ্য। হঠাৎ এমন বিপত্তিতে সিদ্ধান্তহীনতায় দেশের অনেক রপ্তানিকারক। তারা বলছেন, স্থলবন্দর বন্ধ হলে ভারতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। কারণ, বিকল্প হিসেবে সমুদ্রপথে পন্য পাঠাতে বাড়বে খরচ ও সময়। মূল ভুখণ্ডে কিছুটা রপ্তানি হলেও দেশের জন্য সবচেয়ে বড় বাজার, সেভেন সিস্টার্স খ্যাত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে পণ্য পাঠানো প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে বাংলাদেশের জন্য।

সমুদ্রবন্দর দিয়ে ভারতের কলকাতা ও মুম্বাই বন্দরে পণ্য খালাস করে তারপরেই স্থলপথে গন্তব্যে যেতে পারবে দেশের পন্য। এতে ভারতের সাথে সরকারের দৃশ্যমান বৈরিতায় ক্ষতির মুখে পরতে পারে দেশের রপ্তানি খাতের বড় একটি অংশ।

রপ্তানি সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকে জানান, এর আগে তারা সব সময় ভারতের স্থলবন্দর ব্যবহার করেই পণ্য রপ্তানি করেছেন। কখনোই সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করেননি। কারণ এতে পরিবহন খরচ বেড়ে যায় প্রায় পাঁচগুণ। সেভেন সিস্টার্সের রাজ্য গুলতে বাংলাদেশের পণ্য পাঠাতে প্রথমে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে সমুদ্রপথে কলকাতা পণ্য পাঠাতে হবে। পরে তা আবার পুরো বাংলাদেশেরই সীমান্ত ঘুরে আসাম, মেঘালয়, করিমগঞ্জ ও আগরতলায় যাবে পণ্যের চালান। 

রপ্তানি সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বলেন, মূলত সেভেন সিস্টার্সের বাজারে ভারতের নিজস্ব পণ্যের চেয়ে বাংলাদেশের পণ্যের আধিক্য বেশি ছিল। কারণ ভারতের মূল ভূখণ্ডের কোম্পানিগুলোর চেয়ে বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোই কম খরচে সেখানে পণ্য পৌঁছাতে পারতো। সে সুযোগ বন্ধ করায় তা দেশের কোম্পানিগুলোর জন্য বড় দুঃসংবাদ বলে মনে করছেন তিনি।

এসএম/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
গণতন্ত্রের শক্তি জনগণ থেকেই আসে : তারেক রহমান Sep 15, 2025
img
ভাঙ্গায় অবরোধ, ১৯০ জনের নামে মামলা করেছে পুলিশ Sep 15, 2025
img
ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ, প্রতিকার চেয়ে আবেদন স্বতন্ত্র জিএস প্রার্থী আরাফাতের Sep 15, 2025
img
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীতের বদলে বেজে উঠে আইটেম সং Sep 15, 2025
img

জামায়াত নেতা আযাদ

মুক্তিযুদ্ধ না মানলে বাংলাদেশকে অস্বীকার করা হবে Sep 15, 2025
img
দেশে অন্তর্ভুক্তির পরিবর্তে বিভক্তির রাজনীতি চলছে : মাসুদ কামাল Sep 15, 2025
img
নারায়ণগঞ্জে গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারাল ১ Sep 15, 2025
img
গত ১৭ বছর কোনো কাজ করতে পারিনি : বেবী নাজনীন Sep 15, 2025
img
ম্যাচ শেষে হ্যান্ডশেক না করার কারণ জানালেন সূর্যকুমার Sep 15, 2025
img
বিশেষ সাংবিধানিক আদেশে সনদ বাস্তবায়নে আদালতের মত চায় বিএনপি Sep 15, 2025
img
জাপানে ১০০ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ Sep 15, 2025
img
জুলাই সনদ না মানলে প্রার্থিতা বাতিলের প্রস্তাব জামায়াতের Sep 15, 2025
img
দেশের শান্তি বড় শান্তি : প্রধান উপদেষ্টা Sep 15, 2025
img

কাতারের প্রধানমন্ত্রী

দ্বৈত নীতি বন্ধ করে ইসরায়েলকে শাস্তি দিন Sep 15, 2025
img
হেসে খেলেই পাকিস্তানকে হারাল ভারত Sep 14, 2025
img
লুৎফুজ্জামান বাবরকে স্যার স্যার করে জড়িয়ে ধরলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Sep 14, 2025
img

পাপিয়া

আমরা কি বাংলাদেশে রোহিঙ্গা! Sep 14, 2025
img
সিলেটের ডিসি সারওয়ার আলমকে শোকজ Sep 14, 2025
img
পড়ার সুযোগ পেয়েও যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারছেন না হাজার হাজার শিক্ষার্থী Sep 14, 2025
img
দীর্ঘ নয় বছর পর শিবচরে কমিটি ঘোষণা করলো বিএনপি Sep 14, 2025