অনেকে দিনভর ব্যস্ততার পরে রাতে একটু নিজের মতো করে সময় কাটাতে চান। সে জন্য অনেক রাত পর্যন্ত জাগেন। রাতে তাদের অনেকের মধ্যেই সুইট বা স্ন্যাক্স খাওয়ার ক্রেভিং জেগে ওঠে। মিষ্টি, আইসক্রিম, চানাচুর, চিপস, বিস্কুট কিংবা অন্য কোনো মুখরোচক শুকনো খাবার, যেগুলো খেলে পেটের খিদের থেকে মানসিক খিদে আগে মেটে।কারণ রাতের খাবার খেয়ে পেট আগে থেকেই ভর্তি।
এই ধরনের খাওয়া খিদে মেটানোর জন্যে নয়, বরং মানসিক চাপ, উদ্বেগ, অভ্যাস কিংবা একাকিত্ব জন্যও হতে পারে। রাতে ঘুমানোর আগে এই ক্রেভিংস বায়োলজিক্যাল ক্লক অনুসারে শরীরের স্বাভাবিক বিশ্রামের সময়ের বিঘ্ন ঘটায়। আর অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া ও ঘুমের ব্যাঘাত—দুইই শরীরে অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগের জন্ম দেয়।
নিচে চারটি খাবারের উল্লেখ করা হলো, যা আপনার লেটনাইট ফুড ক্রেভিংসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
হলুদ দুধ
হলুদের কারকিউমিন উপাদান প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এই অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান স্নায়ুকে শান্ত করে, এতে ঘুম আসে ভালো। রাতে ঘুমানোর আগে উষ্ণ গরম দুধে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে খেলে ঘুম ভালো হয় এবং শরীর শান্ত থাকে।
কাঠবাদাম
কাঠবাদামে থাকা ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে শরীর ও মনকে প্রশান্তি দেয়, পেশির ওপর চাপ কমায় এবং স্ট্রেস হরমোনকে নিয়ন্ত্রণে আনে। রাতে ফুড ক্রেভিংস হলে মাত্র কয়েকটি কাঠবাদাম খেতে পারেন। এতে ফুডক্রেভিং নিয়ন্ত্রণে আসবে, শরীর ও মন শান্ত হলে ঘুম ভালো হবে।
কলা
কলায় রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম। গুরুত্বপূর্ণ এই খনিজ পেশির খিঁচুনি কমাতে সাহায্য করে এবং স্নায়ুকে আরাম দেয়। রাতে খাবার পর ঘুমালে পেশিতে টান ধরার সমস্যা থাকলে কলা খেতে পারেন। মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছাও মেটাতে পারে এটি।
দই
দই-এ রয়েছে প্রো-বায়োটিক, যা হজমে সহায়তা করে এবং পেটের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখে। হজম ভালো হলে এতে ঘুমের উন্নতিও হয়। বিশেষ করে ল্যাকটোজ ফ্রি বা হালকা ফ্যাটযুক্ত দই হলে রাতের খাবারের পরে ক্রেভিংস মেটাতে অল্প পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে।
সূত্র : এশিয়ানেট
আরআর