আগাম ঈদুল আজহা উদযাপন ফরিদপুরের ১৩ গ্রামে

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের এক দিন আগেই ঈদুল আজহা উদযাপন করছে ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার ১৩ গ্রামের হাজারো মানুষ।

শুক্রবার (৬ জুন) সকালে বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড়, সহস্রাইল, মাইটকুমড়া, ভুলবাড়িয়া, রাখালতলী, বারাংকুলা, দড়ি সহস্রাইল এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলার ইছাপাশা ও শুকুরহাটাসহ ১৩টি গ্রামের মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করে। পরে নিয়ম অনুযায়ী তারা পশু কুরবানি করেন।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শেখর ইউনিয়নের রাখালতলি ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায়, মাইটকুমড়া জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায়, লস্করবাড়ি জামে মসজিদে ৯টায় এবং সহস্রাইল দায়রা শরিফে সকাল ১০ টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক বোয়ালমারীর কাটাগড় গ্রামের বাসিন্দা মাহিদুল হক মূলত এই সম্প্রদায়ের নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন।

তিনি জানান, তাদের পূর্বপূরুষ থেকে তারা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার মির্জাখিল পীরের তরিকাপ্রাপ্ত চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার হজরত ইয়াছিন আলী (রহ.) পীরের অনুসারী। যারা মির্জাখিল পীরের অনুসারী, তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করে থাকেন।

তিনি আরও বলেন, সব মিলিয়ে দুই থেকে আড়াই হাজার মানুষ আছেন, যারা আমরা চট্টগ্রামের পীরের অনুসারী। আগে প্রায় ২০ হাজার মানুষ ছিল। নতুন প্রজন্মের অনেকে এ নিয়ম মানতে চায় না।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের সাদ্রা হামিদিয়া দাখিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ আবু ইছহাক ১৯২৮ সাল থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে সর্বপ্রথম ধর্মীয় রীতিনীতি প্রচলন শুরু করেন। সে মোতাবেক এবার সস্রাইল, মাইটকুমড়া ও রাখালতলী এই চারটি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলফাডাঙ্গা উপজেলার কয়েকটি গ্রামের মুসল্লিরাও সস্রাইলে এসে নামাজ আদায় করেছেন।

টিকে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
গণতন্ত্রের শক্তি জনগণ থেকেই আসে : তারেক রহমান Sep 15, 2025
img
ভাঙ্গায় অবরোধ, ১৯০ জনের নামে মামলা করেছে পুলিশ Sep 15, 2025
img
ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ, প্রতিকার চেয়ে আবেদন স্বতন্ত্র জিএস প্রার্থী আরাফাতের Sep 15, 2025
img
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীতের বদলে বেজে উঠে আইটেম সং Sep 15, 2025
img

জামায়াত নেতা আযাদ

মুক্তিযুদ্ধ না মানলে বাংলাদেশকে অস্বীকার করা হবে Sep 15, 2025
img
দেশে অন্তর্ভুক্তির পরিবর্তে বিভক্তির রাজনীতি চলছে : মাসুদ কামাল Sep 15, 2025
img
নারায়ণগঞ্জে গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারাল ১ Sep 15, 2025
img
গত ১৭ বছর কোনো কাজ করতে পারিনি : বেবী নাজনীন Sep 15, 2025
img
ম্যাচ শেষে হ্যান্ডশেক না করার কারণ জানালেন সূর্যকুমার Sep 15, 2025
img
বিশেষ সাংবিধানিক আদেশে সনদ বাস্তবায়নে আদালতের মত চায় বিএনপি Sep 15, 2025
img
জাপানে ১০০ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ Sep 15, 2025
img
জুলাই সনদ না মানলে প্রার্থিতা বাতিলের প্রস্তাব জামায়াতের Sep 15, 2025
img
দেশের শান্তি বড় শান্তি : প্রধান উপদেষ্টা Sep 15, 2025
img

কাতারের প্রধানমন্ত্রী

দ্বৈত নীতি বন্ধ করে ইসরায়েলকে শাস্তি দিন Sep 15, 2025
img
হেসে খেলেই পাকিস্তানকে হারাল ভারত Sep 14, 2025
img
লুৎফুজ্জামান বাবরকে স্যার স্যার করে জড়িয়ে ধরলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Sep 14, 2025
img

পাপিয়া

আমরা কি বাংলাদেশে রোহিঙ্গা! Sep 14, 2025
img
সিলেটের ডিসি সারওয়ার আলমকে শোকজ Sep 14, 2025
img
পড়ার সুযোগ পেয়েও যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারছেন না হাজার হাজার শিক্ষার্থী Sep 14, 2025
img
দীর্ঘ নয় বছর পর শিবচরে কমিটি ঘোষণা করলো বিএনপি Sep 14, 2025