প্রযুক্তি খাতে অর্থব্যয় বিনিয়োগ হিসেবে দেখা উচিত: মোখলেসুর রহমান

প্রযুক্তি খাতে অর্থব্যয় বিনিয়োগ হিসেবে দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সীমান্ত ব্যাংকের এমডি মোখলেসুর রহমান।

সোমবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘রেগুলেটরি রিপোর্টিং রিকয়ারমেন্টস ফর ব্যাংকস’ শীর্ষক বার্ষিক পর্যালোচনা কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের অধ্যাপক ও পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাহিদামাফিক সঠিকভাবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন বা তথ্য দেয়ার জন্য ব্যাংকারদের এ সংক্রান্ত সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি।

ব্যাংকিংয়ে নতুন কমপ্লায়েন্স পরিপালন এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনামাফিক তথ্য দক্ষ ব্যাংকার ছাড়া দেয়া সম্ভব নয়। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমি ও বিআইবিএমকে উদ্যোগ নিতে হবে। একই সঙ্গে ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা ও বোর্ড সদস্যদেরও এ সংক্রান্ত বিষয়ে সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি।

ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন উদ্দেশ্যে রেগুলেটরি রিপোর্ট চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব রিপোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংক বিশ্লেষণ করে। ব্যাংক খাতের সমস্যা চিহ্নিত করার পাশাপাশি এসব ব্যাংক খাতের নজরদারিতে ভূমিকা রাখে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন দিক বিবেচনায় রেগুলেটরি রিপোর্টিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণার মধ্য দিয়ে যেসব সমস্যা চিহ্নিত হবে তা পরবর্তীতে বিবেচনা করা হয়।

অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, ব্যাংক খাতে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসছে। এজন্য দক্ষ কর্মী গড়ে তোলা প্রয়োজন। ব্যাংকর্মীদের প্রশিক্ষণের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, তথ্য ব্যবস্থাপনা সহজ হতে হবে। প্রত্যেক কর্মীকে স্বচ্ছতার সঙ্গে তথ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে।

হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, রিপোর্টিংয়ের সত্যতা বজায় রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে প্রত্যেক ব্যাংককে দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ব্যাংকগুলো কোনোভাবেই যেন কমপ্লায়েন্সে ছাড় না দেয়। কমপ্লায়েন্স পরিপূরণে বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। কোনোভাবেই তা ব্যয় হিসেবে দেখা ঠিক হবে না।

আট সদস্যের গবেষণা দলে অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন- বিআইবিএমের অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, সহকারী অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. আরিফুজ্জামান, এ এস এম শাহাবুদ্দিন, মোহাম্মদ আনিসুর রহমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিআইবিএমের ড. মোজাফ্ফর আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের মহাপরিচালক মহা. নাজিমুদ্দিন প্রমুখ।

 

টাইমস/এএইচ/জেডটি

Share this news on:

সর্বশেষ