‘অনেকে বলে আমি না কি নেগেটিভ লোক। যা কিছু হয় সব না কি নেতিবাচকভাবে দেখি। নেতিবাচকভাবে দেখার ব্যাপার নয়। বিষয়টা হলো আলোচনার বিষয়।’ বলে মন্তব্য করেছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল।
আলোচনা করতে হবে। তা না করলে ভুলগুলোও বেরিয়ে আসবে না, অথবা শুদ্ধতম পথের দিকেও আমরা অগ্রসর হতে পারব না। এ দুটোই আমাদের জন্য প্রয়োজন। আমার মনে কী প্রশ্ন জেগেছে, সেটা তো আমাকে উচ্চারণ করতে হবে।
আপনি বুঝবেন কীভাবে? না হলে অন্যরা বুঝবেন কীভাবে? আপনার সঙ্গে আমার চিন্তার মিলল কি না সেটাও তো বুঝতে হবে।
রোববার (১৫ জুন) ‘কথা’ নামের নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তিনি এসব কথা বলেন।
মাসুদ কামাল বলেন, ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠকে ঘোষিত নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ থেকে দুজনেই আপস করেছেন। ড. ইউনূস দুই মাস এগিয়ে এসেছেন, আর তারেক রহমান দুই মাস পিছিয়েছেন।
উইন উইন সিচুয়েশন দুপক্ষই জিতেছে।
তিনি বলেন, দুপক্ষই জিতেছে এটা হতে পারে। কিন্তু পক্ষ তো আরো আছে। আরো অনেকগুলো রাজনৈতিক দল আছে। তারও চেয়ে বড় কথা এদেশে জনগণ আছে।
কেউ কি এই এগিয়ে যাওয়া বা পিছিয়ে যাওয়া এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় জনগণের কোন মতামত নিয়েছে?
তিনি আরো বলেন, ফেব্রুয়ারি প্রথমার্ধে নির্বাচন হওয়া নিয়ে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো ভিন্ন মত নেই এবং তারা দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের যে বৈঠক হয়েছে, সমঝোতা হয়েছে এটা নিয়েও তারা অসন্তুষ্ট নন। তাদের প্রশ্ন হচ্ছে- অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তো সব দলই সমান। এই সরকার কীভাবে একটা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মাত্র কথা বলে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে পারে? তাদের প্রশ্ন কিন্তু এই পয়েন্টে এবং তাদের এই পয়েন্টটাকে কিন্তু আপনি ইগনোর করতে পারবেন না।
এসএম