ইসরায়েলে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের দুঃসংবাদ দিলো মার্কিন দূতাবাস

ইসরায়েলে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের দুঃসংবাদ দিয়েছে সেখানকার মার্কিন দূতাবাস। সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে এক বার্তায় দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যেসব নাগরিক ইসরায়েলে বসবাস করছেন, তাদেরকে আপাতত নিজেদের সুরক্ষার ব্যবস্থা নিজেদেরই করতে হবে।

“ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস এখন এমন অবস্থায় নেই যে এখানে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কিংবা ইসরায়েল ত্যাগ করে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে কোনো প্রকার সহযোগিতা করতে পারবে। সেই সঙ্গে নাগরিকদের অনুরোধ করা হচ্ছে যে বিপদ কেটে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তারা যেন বম্ব শেল্টার কেন্দ্রগুলো থেকে বাইরে না বের হন”, বলা হয়েছে মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতিতে।

ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে— অভিযোগ তুলে গত ১৩ জুন শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ অন্তত ৮টি শহরে বড় ধরনের বিমান হামলা করে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী (আইএএফ)।

ইরানের পরমাণু প্রকল্প ও সামরিক বাহিনীর স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে এ হামালা চালানো হয়েছিল। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হামলায় ইরানের অন্তত ১০০টি স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নিহত হয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরিসহ প্রথম সারির বেশ কয়েক জন সেনা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী এ সামরিক অভিযানের নাম দিয়েছে ‘দ্য রাইজিং লায়ন’।

এদিকে ইসরায়েলের অতর্কিত এ হামলার পর শুক্রবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’ সেনা অভিযান শুরু করে ইরান।

দুই দেশের সংঘাত এখনও অব্যাহত আছে। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ইসরায়েলের হামলায় গত চার দিনে ইরানে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৪৪ জন।

অন্যদিকে ইরানের হামলায় গত শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ২৪ জন এবং আহত হয়েছেন ৫৯২ জন। আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ১৩ জুন সংঘাত শুরুর পর থেকে নিজেদের প্রধান বিমানবন্দর বেন গুরিয়ন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টসহ সব বিমানবন্দর বন্ধ রেখেছে ইসরায়েল। কোনো বাণিজ্যিক, এমনকি চার্টার্ড ফ্লাইটও উড্ডয়ন-অবতরণ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

সূত্র : সিএনএন

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img

ডিআইজি রেজাউল করিম

যারা ফ্যাসিস্ট তাদের আমরা আইনের আওতায় আনব Sep 16, 2025
img
আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা মাসুদুর রহমানকে বরখাস্ত Sep 16, 2025
img
পেলেকে ছাড়িয়ে রেকর্ড দামে বিক্রি হলো মেসির রুকি কার্ড Sep 16, 2025
img
জামায়াত আমিরের সঙ্গে শিল্প মালিক প্রতিনিধিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ Sep 16, 2025
img
মিয়ানমারে অবৈধভাবে পণ্য পাচারের সময় ১১ জনকে আটক করেছে নৌবাহিনী Sep 16, 2025
img
চবিতে ‘হোস্টেল সংসদ’ নির্বাচনের ঘোষণা Sep 16, 2025
img
সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করল বিএসএফ Sep 16, 2025
img
বিশ্ববাজারে ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম Sep 16, 2025
img
দুই জয়ে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষে শ্রীলঙ্কা, খালি হাতে বিদায় নিল হংকং Sep 16, 2025
img
ভোজ্যতেল আমদানিতে ব্যয় বৃদ্ধি করল এনবিআর Sep 16, 2025
img
ইভ্যালি থেকে বেরিয়ে একই কৌশলে প্রতারণা, নারী গ্রেপ্তার Sep 16, 2025
img
এশিয়া কাপ জিতেনি বাংলাদেশ গুগোল করে নিশ্চিত হলেন ট্রট Sep 16, 2025
img
ড. ইউনূস ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের স্বপ্ন বিনষ্ট হবে : রাশেদ খান Sep 16, 2025
img
ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য উমামার লিখিত আবেদন Sep 16, 2025
img

মাসুদ সাঈদী

জনগণের ভালোবাসা অর্জন করুন, তাহলে নির্বাচন বর্জনের দরকার হবে না Sep 16, 2025
img
আরও ১ মাস বাড়লো ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ Sep 16, 2025
img
আগস্টে ৪৯ মামলায় জড়িত ৩১১ দুর্নীতিবাজ Sep 15, 2025
img
১৫ কেজির কোরাল মাছ বিক্রি ১৮ হাজারে Sep 15, 2025
img
শ্রীলঙ্কার সামনে হংকংয়ের ১৫০ রানের চ্যালেঞ্জ Sep 15, 2025
img
নিকুঞ্জে নাগরিক জাগরণ: হারানো শান্তি ফিরে পাওয়ার গল্প Sep 15, 2025