চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে বোর্ডিং ব্রিজে ত্রুটি, রোদ-বৃষ্টিতে যাত্রীদের দুর্ভোগ

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দীর্ঘদিনের পুরোনো দুটি বোর্ডিং ব্রিজ ঘন ঘন নষ্ট হচ্ছে। একটি মেরামত করতে না করতে নষ্ট হচ্ছে আরেকটি। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কখনো প্রবল রোদে পুড়ে, আবার কখনো বৃষ্টিতে ভিজে বিমানে ওঠানামা করতে হচ্ছে যাত্রীদের।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুটি বোর্ডিং ব্রিজ রয়েছে ৪ ও ৫ নম্বর গেটে। ২০০১ সালে স্থাপিত এই পুরোনো ব্রিজ দুটি এখন প্রায়ই বিকল হয়ে পড়ে। ৬ জুন থেকে ৪ নম্বর গেটের ব্রিজটি নষ্ট ছিল টানা ১১ দিন। সেটি ১৭ জুন মেরামত করে সচল করা হয়। পরদিন ১৮ জুন নষ্ট হয়ে যায় ৫ নম্বর ব্রিজ। রাতেই সেটি মেরামত করা হয় বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে ১৪ থেকে ১৮টি আন্তর্জাতিক ও ৩০ থেকে ৩৫টি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালিত হয় এই বিমানবন্দরে। সম্প্রতি হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হওয়ায় এই চাপ আরও বেড়েছে। এক সঙ্গে একাধিক ফ্লাইট এলে বোর্ডিং ব্রিজে চাপ সামলানো সম্ভব হয় না। তার ওপর একটি নষ্ট হয়ে গেলে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছে।

সম্প্রতি এই বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াতকারী মাহমুদুল হাসান এক যাত্রী বলেন, আমার ফ্লাইট ছিল দুপুর ১২টার দিকে। প্রচণ্ড রোদে হেঁটে যেতে হয়েছে। মাথায় কোনো ছায়া নেই, বোর্ডিং ব্রিজও নেই। এমন অবস্থায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মান কোথায়?

সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আসা এক যাত্রী বলেন, বিমানের সিঁড়ি দিয়ে নেমে বৃষ্টির মধ্যে হেঁটে যেতে হয়েছে। আমার সঙ্গে বয়স্ক মানুষ ছিলেন, তাদের খুব কষ্ট হয়েছে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. ইব্রাহীম খলিল দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, দুটি বোর্ডিং ব্রিজই ২০০১ সালের। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করেও পুরোনো হওয়ার কারণে মাঝে মধ্যেই নষ্ট হয়। বর্তমানে দুটি সচল রয়েছে।

কেএন/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিশ্বসেরা আকাশ প্রতিরক্ষাও ভেঙে ফেলেছে ইরান Jun 20, 2025
img
আগামী রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ে ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা Jun 20, 2025
img
৫ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠালো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার Jun 20, 2025
img
এবার উপদেষ্টার দায়িত্ব পেলেন সামি Jun 20, 2025
img
ইরান ছাড়ছেন হাজারো আফগান নাগরিক Jun 19, 2025
img
সুইডেনের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য ২৫ কোটি ৭ লাখ টাকার অনুদান ঘোষণা Jun 19, 2025
img
নিজের জীবনের শ্রেষ্ঠ ভাষণটি আজ শুনলাম : গোলাম মাওলা রনি Jun 19, 2025
img
তৃতীয় পক্ষ হস্তক্ষেপ করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে ইরান Jun 19, 2025
img
ভারতের ক্রিকেট বোর্ডকে ৫৩৯ কোটি রূপি জরিমানা Jun 19, 2025
img
প্রতিদিন ডালিম খেলে শরীরে ঘটে যেসব উপকার Jun 19, 2025
img
সংঘাতে না জড়ানোর দাবিতে হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ Jun 19, 2025
img
১৮৭ রান করেও হতাশ নিশাঙ্কা, চাইলেন ডাবল সেঞ্চুরি Jun 19, 2025
img
সফরের আগে চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক Jun 19, 2025
img
ইরান থেকে ট্রাম্পকে সরে আসার আহ্বান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর Jun 19, 2025
img
হাসপাতালে এমবাপে, বাড়ছে রিয়ালের দুশ্চিন্তা Jun 19, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকারের ১০ মাসে ছাড়পত্র পেল ৩৮টি বাংলা সিনেমা Jun 19, 2025
img
মার্কিন হামলার গুজব উড়িয়ে দিলেন ট্রাম্প Jun 19, 2025
img
ইউরোপীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে জেনেভায় আলোচনায় বসবেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী Jun 19, 2025
img
নরমাল ডেলিভারির আশায় দুই মাস ধরে থাইল্যান্ডে স্বাগতা Jun 19, 2025
img
মীরসরাইয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল ৩ জনের Jun 19, 2025