মাজেতের সাজা হয়েছিল ৩০ বছর। কিন্তু ভালো ব্যবহার ও ভালো কাজের জন্য ২৩ বছরেই মুক্তি মিলে তার। গত ২৬ মার্চ দীর্ঘ কারাভোগ শেষে মুক্ত হন তিনি। তবে এই দীর্ঘ সময়ে বদলে গেছে অনেক কিছু।
তার সংসারে এখন কেউ নেই। আছে কেবল অভাব-অনটন।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের মাধইপাড়া এলাকায় বাড়ি মাজেতের। তিনি ওই এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলায় তার সাজা হয়েছিল ২০০২ সালে। দুই বছর পর স্ত্রী সালেহা বেগম তার সংসার ছেড়ে যান। বাড়িতে নেই কোন জমি জায়গা। সংসারে ছিল মা ফুলবানু বেগম।
তিনিও ১৬ দিন আগে মারা গেছেন। খুব একা হয়ে পড়েন মাজেত। চা বাগানে শ্রমিকের কাজ করে কোন মতে জীবনযাপন করছিলেন তিনি। তবে অভাব অনটনে আবারো দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। মাজেতের অসহায়ত্বের কথা শুনে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবেত আলী তাকে সাবলম্বী করতে একটি গরু কিনে দেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে তার হাতে গরুটি তুলে দেন তিনি। গরু পেয়ে খুশি মাজেত।
আব্দুল মাজেত বলেন, আমি মিথ্যে মামলায় ২৩ বছর কারাগারে কাটিয়েছি। এ বছর আমাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এখন আমার পরিবারে কেউ নেই। মা ছিল কয়েক দিন আগে তিনিও মারা গেছেন। আমি এখন চা বাগানে কাজ করি। জেলা প্রশাসক আমাকে একটি গরু কিনে দিয়েছেন। আমি খুব খুশি। আমার খুব উপকার হলো।
জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছে। ভালো আচরণ ও ভালো কাজের জন্য তাকে এবার মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সম্পদ বলতে তার কিছুই নেই। তাকে সাবলম্বী করতেই আমরা একটি গরু কিনে দিয়েছি। আশা করি সে এর মাধ্যমে ধীরে ধীরে নিজেকে আত্মনির্ভরশীল করতে পারবে।
এফপি/ এসএন