চলমান সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এমন আশঙ্কায় নিজেদের সামরিক শক্তি বাঁচিয়ে রাখছে ইরান। ফলে পরিস্থিতি দ্রুত আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এমনটি হলে তা যে কোনো সময় আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
মধ্যপ্রাচ্য কৌশলগত গবেষণা কেন্দ্রের বিশ্লেষক আব্বাস আসলানি আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘যুদ্ধের পরিধি ক্রমেই বাড়ছে।
যদি যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি হস্তক্ষেপ করে, তাহলে এটি নতুন একপর্যায়ের আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে, যার প্রভাব শুধু সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না বলেই মনে করেন তিনি।
পারস্যের হরমুজ প্রণালি ইরানের একটি কৌশলগত শক্তি। তাই আন্তর্জাতিক গুরাত্বপূর্ণ এই জলপথে ইরানের শক্ত অবস্থান তাদের বাড়তি সুবিধা দেবে। যদিও ইরান এখনো হরমুজ প্রণালিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেনি, এমনকি সামরিক শক্তির পুরো অংশও মাঠে নামায়নি। তবে ইরান এমনটি ইচ্ছা করেই করছে বলে মত অনেকর।
বিশেষজ্ঞদের মত, তেহরান ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু সামরিক ক্ষমতা সংরক্ষিত রেখেছে, যেন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়লে সেগুলো ব্যবহার করা যায়। যুক্তরাষ্ট্র যদি সরাসরি সংঘাতে জড়ায়, তবে ইরান অবিলম্বে নতুন এক সংঘাত শুরু করবে। এই পর্বে তেহরানের লক্ষ্য হবে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক স্বার্থ ও সামরিক ঘাঁটিগুলো। অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করলেই পাল্টা হামলা চালাবে ইরান।
এমন অবস্থায় বিশ্লেষকদের মত, কূটনৈতিক সমাধানের পথ খোলা রাখা এবং উত্তেজনা প্রশমন করাই হবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রধান দায়িত্ব।