বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন বলেছেন, দেশে গত ১৬ বছরে বহু প্রতারণামূলক বিনিয়োগ করা হয়েছে। মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেলের মতো বড় অবকাঠামো করতে গিয়ে এক টাকার জিনিস ২০ টাকায় করেছি। এসব উন্নয়ন অর্থনৈতিক দায় তৈরি হয়েছে, যা জাতীয় ব্যয়ে বড় বোঝা।
বুধবার (২৫ জুন) অর্থনৈতিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘কনডাক্টিভ অটোমোবাইল পলিসি ফর গ্রিন গ্রোথ অ্যান্ড কম্পিটিটিভ ইকোনমি’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি দৌলত আকতার মালা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বারভিডার সভাপতি মো. আব্দুল হক। আরও বক্তব্য রাখেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট আনোয়ার উল আলম চৌধুরী, উত্তরা মোটরস চেয়ারম্যান মতিউর রহমান এবং ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী ড. মাশরুর রিয়াজ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম।
মূল প্রবন্ধে মাশরুর রিয়াজ বলেন, বাংলাদেশের লজিস্টিক ব্যয় পৃথিবীর অন্যতম বেশি। আমাদের ব্যয় অন্তত ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বেশি। এটি কমাতে পারলে ২০ শতাংশ রপ্তানি বাড়বে। তিনি বলেন, উন্নত পরিবহন ব্যবস্থার জন্য উন্নত প্রযুক্তির গাড়ি আমদানি জরুরি। তবে শুধু নতুন গাড়িই নয়, উন্নত প্রযুক্তির পুরনো গাড়িও পরিবেশবান্ধব হতে পারে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বিগত ১৬ বছরে আমরা এমন সব ফ্যালাসি মূলক বিনিয়োগ করেছি, সেটা কর্ণফুলী টানেল হোক, এমন উচ্চ মূল্যের বিনিয়োগ করেছি যে ঋণের নামে আমরা মেট্রোরেল করতে গিয়ে এক টাকার জিনিস ২০ টাকায় করেছি। এসব উন্নয়ন করতে গিয়ে অর্থনৈতিক দায় তৈরি হয়েছে, যা জাতীয় ব্যয়ে বড় বোঝা।
তিনি বলেন, যে কোনো উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য আমাদের রাষ্ট্রীয় সক্ষমতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নাই। এর জন্য দরকার সমন্বিত উদ্যোগ।
তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনীতিকে এই দায় থেকে বের করে আনতে সমন্বিত বহুমুখী নীতি প্রয়োজন। দেশের পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং অটোবয়েল শিল্পের প্রসারে ব্যবসায়ীদের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বারভিডার সভাপতি আব্দুল হক বলেন, জাপানের মতো দেশের উন্নত প্রযুক্তির পুরনো গাড়ি অনেক বছর ধরে পরিবেশবান্ধব থাকে। তাই সেসব গাড়ির আমদানিতে সহনশীল নীতি দরকার।
টিকে