মাত্র ৫০ বছর বয়সে তার আকস্মিক মৃত্যু সারা বিশ্বে শোকের ছায়া ফেলে দেয়। ২০০৯ সালের ২৫ জুন না ফেরার চলে যান কিংবদন্তি পপতারকা মাইকেল জ্যাকসন।
চেতনানাশক ওষুধ প্রোপোফল অতিরিক্ত সেবনের ফলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় চিকিৎসক কনরাড মারে দণ্ডিত হন। ব্রিটিশ তথ্যচিত্র ‘মাইকেল জ্যাকসন অ্যান্ড দ্য ডক্টর: আ ফ্যাটাল ফ্রেন্ডশিপ’–এ উঠে আসে মাইকেলের শেষ সময়ের কাহিনি, যেখানে মাইকেলের বলা শেষ কথাও জানিয়েছেন বিতর্কিত চিকিৎসক মারে।
তথ্যচিত্রে মারে জানান, মৃত্যুর আগে সবশেষ মাইকেল জ্যাকসন তার কাছে প্রোপোফলের অনুরোধ করেন। মাইকেল এটিকে ‘দুধ’ বলে ডাকতেন, এটি দেখতেও দুধের মতো সাদা। ইনসমনিয়ার কারণে দীর্ঘদিন এই ওষুধের ওপর আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন মাইকেল।
শেষ পর্যন্ত এই প্রোপোফলই হয়ে দাঁড়ায় তার মৃত্যুর প্রধান কারণ। মাইকেল একাকিত্ব পছন্দ করলেও তার বাড়ির আশপাশে পাপারাজ্জি ও ভক্তদের ভিড় তার ভালো লাগত না।
মারে বলেন, ‘তিনি বাড়িতে সময় উপভোগ করতে পারতেন না। পাপারাজ্জি ও ভক্তরা সর্বদা তার বাড়ির দিকে নজর রাখত। আমরা বহুবার গাড়িতে পালিয়ে বের হয়েছি। তিনি গাড়ির পেছনের সিটে লুকিয়ে থাকতেন এবং নিরাপত্তাকর্মীদের বলতেন, “আমাদের পিছু নিয়ো না।” তার এসব ঝুঁকি নিতে দেখলে আমার হৃৎস্পন্দন একটু বেড়ে যেত।’
মাইকেল জ্যাকসন যখন মৃত্যুশয্যায়, মারে তখন টেলিফোনে বান্ধবীদের সঙ্গে গল্পে ব্যস্ত ছিলেন। ফলে জরুরি নম্বরে ফোন করতেও দেরি করেন তিনি। এ রকম বিভিন্ন অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় চার বছর কারাদণ্ডের শাস্তি পান মারে। ‘অনিচ্ছাকৃত খুন’–এর অপরাধে ২০১১ সালে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
পিএ/টিকে