এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন—জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের এই প্রস্তাবে বিএনপির রাজি হওয়ার সিদ্ধান্তে তারেক রহমানের প্রশংসা করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এসব কথা বলেন তিনি।
জাহেদ উর রহমান বলেন, বিএনপি এই বিষয়টি প্রাথমিকভাবে একেবারেই মানেনি। তারা বলছিল পরপর দুইবার থাকা যাবে, আবার একবার গ্যাপ দিয়ে আবার দুইবার, আবার গ্যাপ আবার দুইবার।
বিএনপি আবার আরেক ধাপে গেল এবং তারা দুইবারের পর একবার গ্যাপ দিয়ে আবার একবার চেয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দুই মেয়াদেই রাজি হলো। আমার কাছে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত মনে হয়। এটা সিমবলিক।
তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্তটা নিশ্চয় তারেক রহমান দিয়েছেন। আমি একটা জিনিস একদম দিব্য চোখে দেখি এবং প্রায় বলেছি বিএনপি আগামী পর
পর দুইটা সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত। পরের বার তাদের সিট কমতে পারে কিন্তু আবারো ক্ষমতায় আসবে।
তার পরের বার কি হবে সেটা খানিকটা ভাবার আছে।
এবং তৃতীয়বারও হওয়ার সম্ভাবনা বেশি আছে। তার মানে তারেক রহমানের যে বয়সটা হবে দুই টার্ম থাকার পরপর, সারা দুনিয়ার প্রেক্ষাপটে তার প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার মতো শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা থেকে যাবে। কিন্তু তারপরও তিনি সেটা হবেন না। তাকে এ কথা বলা হয়নি। তিনি নিজেই এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন।
খুবই আন্তরিকভাবে তাকে প্রশংসা করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আমারা জানি না দেশ কেমন চালাবেন। দেশ খারাপ চালালে আমার সমালোচনা করব।কিন্তু তার এই চিন্তা প্রশংসাযোগ্যা।
জাহেদ উর রহমান বলেন, আমি প্রায় বলি বিএনপি আসলে দল হয়ে উঠেছে দুইজন ব্যক্তির হাতে। জিয়াউর রহমানের আমলে এটাকে সে অর্থে আমি রাজনৈতিক দল বলবো না। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার আমলে একটা লম্বা সময় এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, তারপর ক্ষমতায় আসা, আমার ক্ষমতা হারানো, আবার ক্ষমতায় আসা।
তার পরবর্তীতে তিনি জেলে যাওয়া এবং অসুস্থতা হওয়ার পর তারেক রহমান পরবর্তী ধাপে বিএনপি আরো শক্তি একটা রাজনৈতিক দলে পরিণত করেছেন। ৫ আগস্টের পর তিনি খুবই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছেন। দলের মধ্যে শুদ্ধি অভিযান চালিয়েছেন। এখন অসাধারণ একটা পদক্ষপ নিলেন, যার মাধ্যমে তিনি নিজের একটা ক্ষমতা পাওয়ার জায়গা সরিয়ে ফেললেন। এটা অসাধারণ।
আরএম