রাজনৈতিক বিশ্লেষক, চিন্তক ও জবান ম্যাগাজিনের সম্পাদক রেজাউল করিম রনি বলেছেন, এই অভ্যুত্থানের কর্তা হলো জেনজি, পুরা জেনারেশন। ২৪ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে, কারণ হল আমরা অভ্যুত্থানটাকে পুরোপুরি রিয়ালাইজ করতে পারিনি। এর কারণ হলো এই অভ্যুত্থানে একেকজনের এক্সপেরিয়েন্স একেক। রকম যিনি মাঠে ছিলেন, তার এক রকম।
যিনি বিদেশে থেকে ফেসবুকিং করছেন, তার আরেক রকম। আবার যিনি মতামত উৎপন্ন করেছেন, তাদের একরকম। আর যে গুলির সামনে দাঁড়াচ্ছে, তার একরকম। ফলে এখন আপনি যদি একজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করেন আপনার জুলাই কেমন? একেকজনের এক্সপেরিয়েন্স একেক রকম হবে।
ফলে এখন আমি মিরপুর ১০-এর অভিজ্ঞতা বা একজন যাত্রাবাড়ি বা একজন চাংখারপুলের অভিজ্ঞতাকেই ২৪ মনে করে যখন আমরা ন্যারেট করব, তখন প্রবলেমটা হবে অন্ধের হস্তি দেখার মতো।
তিনি বলেন, এখন যেটা করতে হবে এই অভ্যুত্থানটাকে আমরা কোন দল কোন ব্যক্তি কোন বিশেষ ইডোলজির সাপেক্ষে হয়েছে এটা মনে করলে একটা আত্মঘাতী কাজ হবে। এটা ৭১-এর মত হয়ে যাবে। অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে কোন রাজনীতিক ফয়সালা কায়েম হয় না, অভ্যুত্থানে কোন রাজনীতি থাকে না, এমনকি অভ্যুত্থানে থাকে হলো স্পিরিট।
এখন সেই স্পিরিট আমরা পুরাপুরিভাবে রিকগনাইজ করতে পারছি, বুঝতে পারছি- এটা দাবি করার কোন সুযোগ নাই। কারণ হল এই অভ্যুত্থানের পরে আমরা যে অবস্থার মধ্যে আছি, সেটাকে আমরা বলতেছি লেট ফ্যাসিজম। শেখ হাসিনাকে ছাড়া ফ্যাসিজম। শেখ হাসিনা চলে গেছে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ ফ্যাসিস্টিক কাঠামো রয়ে গেছে। আপনার এই আমলাতন্ত্র রয়ে গেছে।
রেজাউল করিম রনি বলেন, আমরা আবার এমনটাও বলতে শুনি যে এই সরকার বিএনপির দ্বারা পরিচালিত সরকার, এই সরকার জামায়াত দ্বারা পরিচালিত সরকার- এই সরকার সবার দ্বারা পরিচালিত সরকার, আবার কারো দ্বারা পরিচালিত না। এখানে কোন বিরোধী দল নাই, সব হলো আধা সরকারি দল।
তিনি আরো বলেন, ৫ তারিখ আমরা কী চাই, সেটা আমরা বলিনি। কিন্তু আমরা কি চাই না, তার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছি। ফলে কোন আকাঙ্ক্ষাই তৈরি হয়নি।
আরআর